সুখবর, এই মাসেই আসছে ভ্যাকসিন - তা কতটা নিরাপদ, সব বিষয় খোলসা করলেন এইমস প্রধান

'কোভিশিল্ড' ভ্যাকসিন-এর প্রভাবে স্নায়ুর রোগের অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি

সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন এইমস-এর ডিরেক্টর

ভারতে পরীক্ষা হওয়া সব ভ্যাকসিন নিরাপদ বলেই দাবি তাঁর

এই মাসের শেষেই তাই শুরু হতে পারে করোনা টিকাকরণ

amartya lahiri | Published : Dec 3, 2020 9:42 AM IST

চেন্নাইয়ে 'কোভিশিল্ড' ভ্যাকসিন-এর প্রভাবে স্নায়বিক সমস্যা, জ্ঞানীয় কার্যক্রমে অক্ষমতা-সহ গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার অভিযোগ করেছেন একজন ৪০ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবী। কিন্তু, তাঁর অসুস্থতার সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করলে এইমস-এর ডিরেক্টর, তথা ভারতের কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচির অন্যতম মুখ ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, সম্ভবত চলতি মাসের শেষে কিংবা আগামী মাসের শুরুতেই ভারতে টিকারকণ শুরু হয়ে যাবে। বিপুল সংখ্যক লোককে টিকা দেওয়ার সময়, কারোর কারোর শরীরে অন্য রোগ থাকতে পারে। চেন্নাইয়ের ট্রায়ালে এমনটাই ঘটেছিল।

এদিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এইমস হাসপাতালের ডিরেক্টর ডাক্তার রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ভারতে এখন বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। চলতি মাসের শেষে বা পরের মাসেকর শুরুতেই জনসাধারণকে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করার জন্য ভারতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ভ্যাকসিনগুলি অত্যন্ত নিরাপদ, সুরক্ষা ও ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার ক্ষেত্রে একেবারেই আপস করা হয়নি। ৭০ থেকে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কারোর ক্ষেত্রেই কোনও গুরুতর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। স্বল্পমেয়াদে এই ভ্যাকসিনগুলি প্রত্যেকটিই নিরাপদ বলে দাবি করেছেন ডাক্তার গুলেরিয়া।

তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রত্যেককে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না। তাই কোভিডের কারণে যাদের মৃত্যুর উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে, সেই প্রবীণ নাগরিক, কমরবিডিটি থাকা ব্যক্তি এবং প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়ছেন, সেইসব স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হবে। একবার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়ে গেলে, সেই টিকা দেহে ভাল পরিমাণে অ্যান্টি-উত্পাদন করবে এবং করোনা থেকে সুরক্ষা দেওয়া শুরু করবে। বেশ কয়েক মাস এর কার্যকারিতা থাকবে। তবে তার আগে দরকার, কোল্ড চেইন রক্ষণাবেক্ষণ, উপযুক্ত স্টোরহাউজ তৈরি, ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং সিরিঞ্জ। এই বিষয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই স্কতরেই যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় কাজ চলছে।

 

Share this article
click me!