সমলিঙ্গ বিয়ে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি ও রাষ্ট্রপতিকে চিঠি। চিঠি দিল একাধিক সংখ্যালঘু সংগঠন।
সমলিঙ্গবিবাহ- সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এরই বিরুদ্ধে দেশের একাধিক সংগঠন পছে নেমেছে। সংগঠনগুলি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মুকে যেমন চিঠি লিখেছে তেমনই চিঠি লিখেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে। যেসব সংগঠনগুলি চিঠি দিয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি, আল ইন্ডিয়া পাসমান্ডা মুসলিম মহাজ, ভারতের কমিউনিয়ন অব চার্চেস।
অল ইন্ডিয়া পাশমান্দা মুসলিম মহাজ চিঠি লিখে জানিয়েছে ভারত বিভিন্ন ধর্ন, বিশ্বাস ও প্রাচীন সংস্কৃতির দেশ। এই দেশের ঐতিহ্য নারী ও পুরুষ পরিবার কঠামোর অংশ। তাই সংগঠনটি তাদের চিঠিতে বলেছে, সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে বিবাহ ব্যবস্থায় গভীর প্রভাব পড়বে। চিঠিতে বলা হয়েছে বিয়ে শুধুমাত্র যৌনসুখের জন্যই নয়, সামাজিক কাঠামোর একটি বিষয়ে। সমকামিতা ভারতীয় জনগণের ধর্ম, সংস্কৃতি ও অনুভূতির পরিপন্থী। অল ইন্ডিয়া পাশমান্দা মুসলিম মহাজ তাই আবেদনটি খারিজ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছে।
ভারতের কমিউনিয়ন অব চার্চেস অব ইন্ডিয়া চিঠিতে লিখেছে, সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দায়ের করা আবেদন শুনে তারা অবাক হয়েছে। খ্রিস্ট্রান বিশ্বাস অনুযায়ী প্রতিটি মানুষ পিতামাতার মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে। এমন পরিস্থিতিতে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া অনুচিত বলেও দাবি করা হয়েছে। সংগঠনটি চিঠিতে বলেছে, তাতা সমকামী বিয়ে মেনে নেবে না। অন্যদিকে চিস্তি মঞ্জিল সুফি খানকাহের হাজি সৈয়দ সালমান চিস্তি ভারতের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন, এতে কিছু মানুষ খুশি হবে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কখনই তা মেনে নেবে না। জনস্বার্থে এই পিটিশন খারিজ করা জরুরি।
ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি এই ইস্যুতে বলছে, এটি ধর্মীয় বিশ্বাসের পাশাপাশি দেশের মানুষের মানবাধিকারও ধ্বংস করে দেবে। ইসলাম বিবাহকে স্বীকৃতি দেয় তবে তা হওয়া উচিত একজন পুরুষ ও একজন নারীর মধ্যে। সমলিঙ্গের বিয়ে যে কোনো অবস্থাতেই সমাজকে ভেঙে দেবে, তাই কোনো অবস্থাতেই এটাকে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুনঃ
'তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি', শ্যামবাজারের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে মমতাকে আক্রমণ বিজেপির শুভেন্দুর
ভোট প্রচারে কর্ণাটকে রাহুল গান্ধী, পদ হারিয়ে 'সেই কোলারেই' প্রথম জনসভা কংগ্রেস নেতার
বিজেপি একমাত্র প্যান-ইন্ডিয়া রাজনৈতিক দল, বাকিগুলি পরিবারতন্ত্র পরিচালিত- বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী