কংগ্রেসের 'কাঁটা' মুখ্যমন্ত্রী পদ, ৭২ ঘণ্টা পরে ডিকে শিবকুমার-সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে

কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড় অব্যাহত। এখনও সিদ্দারামাইয়া ও ডিকে শিবকুমারের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। দিল্লি এসেছেন সিদ্দারামাইয়া।

 

Web Desk - ANB | Published : May 15, 2023 10:03 AM IST

ফল প্রকাশের ৭২ ঘণ্টা পরেও কর্ণাটক মুখ্যমন্ত্রী কে হবে - সেই সমস্যার কোনও সমাধান সূত্র মিলল না কংগ্রেসের অন্দরে। রাজ্য নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারিয়ে অবশেষে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার সিদ্দারামাইয়া দিল্লি ছুটলেন। অপর দাবিদার প্রদেশর কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার এখনও কর্ণাটকে থাকলেও ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত বলেই ঘনিষ্ট সূত্রের খবর। তবে শিন্ডের কথা অনুযায়ী ডিকে শিবকুমারকেও দিল্লিতে ডেকে পাঠান হতে পারে।

কংগ্রেসের সূত্রের খবর নিজের উদ্যোগেই দিল্লিতে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে গেছেন কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া। আজই রওনা হয়েছেন। আজই তিনি দিল্লিতে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ পাকা করে ফেলতে চাইছেন। কারণ কর্ণাটক ছাড়ার আগে সিদ্দারামাইয়া সাংবাদিকদের জানিয়ে এসেছেন, দলের অধিকাংশ বিধায়কই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকেই চেয়েছেন। যদিও এই বিষয়, নিয়ে মুখ খোলেননি কর্ণাটকের নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেস নেতৃত্ব। কারণ রণদীপ সুরজেওয়ালা ও সুশীল কুমার শিন্ডে দুজনেই ভোট গণনার দিন থেকে সেখানেই ছিলেন। শিন্ডে এদিন জানিয়েছেন, 'আমাদের রিপোর্ট ( কংগ্রেসের নবনির্বাচিত বিধায়ক বিধায়কদের প্রতিক্রিয়া ও তাদের মতামত) অত্যান্ত গোপনীয়। যা আমরা কেউ প্রকাশ করতে পারি না। এই রিপোর্ট জনসমক্ষে আনতে পারেন একমাত্র দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।' তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজনে শিবকুমার ও সিদ্দারামাইয়া দুজনকেই দিল্লিতে তলব করা হতে পারে।

কংগ্রেসের একটি অংশ জানিয়েছে, শিবকুমার ও সিদ্দারামাইয়ার মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। এই অবস্থায় নবনির্বাচিত বিধায়কদের বিধানসভায় তাদের নেতা নির্বাচনের পুরো দায়িত্ব মল্লিকার্জুন খাড়গের হাতেই তুলে দিয়েছে। সূত্রের খবর বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের সময় কিছু বিধায়ক সোজাসুজি নিজের পছন্দের নেতার নাম জানিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মতামাত দিতে চাননি। তাদের বিকল্প হিসেবে নাম লিখে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যা কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব গোপন রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নবনির্বাচিত বিধায়ক জানিয়েছেন, শিবকুমার, সিদ্দারামাইয়া ও অন্য এক জন তৃতীয় নেতার নাম লেখা কাগজ দেওয়া হয়েছিল তাদের মতামত জানানোর জন্য। সেখানে নিজেদের মতামত জানিয়েছে তারা হাইকমান্ডের হাতে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু ৮০ বছরের সিদ্দারামাইয়া এখনও মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য জোরালো দাবি জানিয়ে যাচ্ছেন। যা কিছু বিধায়ককে রীতিমত হতাশ করেছে।

অন্যদিকে সিদ্দারামাইয়ার কথা মেনে কংগ্রেস নেতারাও প্রত্যেক বিধায়কের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করে। কিন্তু সেই রিপোর্টও প্রকাশ করা হয়নি। সূত্রের খবর এই রিপোর্টও শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বিধান পরিষদের বিরোধী দলনেতা বিকে হরিপ্রসাদ বলেছেন, তিনজন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত নবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছে। মতামতের পাশাপাশি গোপন ব্যালটেরও ব্যবস্থা ছিল। যার রিপোর্ট মল্লিকার্জুন খাড়গের হাতেই তুলে দেওয়া হবে।

২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেস পেয়েছেন ১৩৫টি আসন। বিজেপি ৬৬টি। জেডিএস ১৯টি আসন জিতেছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে কংগ্রেস।

Read more Articles on
Share this article
click me!