
Cyclone Montha Landfall: আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) কাকিনাড়ায় (Kakinada) স্থলভাগে আছড়ে পড়ল তীব্র ঘূর্ণিঝড় মোন্থা। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময় সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এদিন সন্ধে সাতটায় শুরু হয় ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া। মৌসন ভবনের (India Meteorological Department) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোন্থা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর তিন-চার ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে। এদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার গতিবেগে এগিয়ে যায় এই ঘূর্ণিঝড়। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কাকিনাড়া থেকে ১১০ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ঘূর্ণিঝড়। ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে রাতে স্থলভাগে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হয়। এর ফলে ৪৩,০০০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এসপিএসআর নেল্লোর (SPSR Nellore) ও প্রকাশম (Prakasam) জেলায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে সন্ধে সাতটা পর্যন্ত এই দুই জেলার বিভিন্ন জেলায় ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে।
মৌসম ভবনের (India Meteorological Department) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসপিএসআর নেল্লোর জেলার উলভাডু (Ulavapadu) অঞ্চলে মঙ্গলবার ১৬৭ কিলোমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কাভালি (Kavali) ও দাগাদারথি (Dagadarthi) অঞ্চলে যথাক্রমে ১৬২.৭৫ মিলিমিটার ও ১৪৭.৫ মিলিমিচার বৃষ্টি হয়েছে। প্রকাশম জেলাতেও ভারী বৃষ্টি হয়েছে। যেখানে ঘূর্ণিঝড় মোন্থা আছড়ে পড়ল, সেই কাকিনাড়ায় কিন্তু বেশি বৃষ্টি হয়নি। তবে বৃষ্টি বেশি না হলেও, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের কোনাসীমা জেলার (Konaseema District) মাকানাগুডেম গ্রামে গাছ ভেঙে পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ৭৬,০০০ মানুষকে আশ্রয় শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২১৯টি মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। ৮৬৫ টন পশুখাদ্যেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।