শশী থারুর বলেন, 'আমার মন্তব্য করার মত কিছু নেই। আমি আমার নিবন্ধে যা লিখিছে তা আমি মন থেকে মেনে নিয়েছে। আর সেটা হল নির্বাচন কংগ্রেসের জন্য ভাল দিক। এতে কংগ্রেসের উপকারই হবে।'
রাহুল গান্ধী নয়, কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারেন শশী থারুর। সম্প্রতি 'অবাধ ও সুস্ঠু নির্বাচন'-এর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি মালায়ালম দৈনিকে একটি নিবন্ধ লেখেন। নিবন্ধটির নাম 'মাতৃভূমি'। সেই লেখাটি সম্পর্কে এদিন সাংবাদিকরা তাঁকে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেন। আর মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন ছিল তিনি কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন কিনা? তবে শশী থারুর রিপোর্টের সত্যতা স্বীকার বা অস্বীকার করেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন তিনি যা লিখেছেন সেটা তিনি মন থেকেই লিখেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শশী থারুর বলেন, 'আমার মন্তব্য করার মত কিছু নেই। আমি আমার নিবন্ধে যা লিখিছে তা আমি মন থেকে মেনে নিয়েছে। আর সেটা হল নির্বাচন কংগ্রেসের জন্য ভাল দিক। এতে কংগ্রেসের উপকারই হবে।' প্রতিবেদনে বলা হয়েছে থারুরকে তিরুবন্তপুরমের একজন সাংসদ সভাপতিপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। পিটিআই সূত্রের খবর কংগ্রেসের সভাপতি পদে তিনি প্রার্থী হতে পারেন। তবে এবিষয়ে তিনি এখনও মনস্থির করতে পারেননি। এই বিষয়ে ঘনিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
শশী থারুর তাঁর লেখা প্রবন্ধে বলেছেন কংগ্রসের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দলের মধ্যে। যা অত্যান্ত ক্ষতিকর। তিনি মনে করেন নতুন সভাপতি নির্বাচনই দলকে একটি সুনির্দিষ্ট পথ দেখাতে পারে। তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টির নির্বাচনের প্রসঙ্গে। তিনি বলেন একইভাবে কংগ্রেসের ভোটগুলি দলের প্রতি জাতীয় আগ্রহ বাড়িয়ে তুলবে এবং "আবারও কংগ্রেস পার্টির দিকে আরও ভোটার যোগাবে", তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন। শশী থারুর বলেছেন সভাপতি নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে একজন প্রার্থী নিজের যোগ্যতা যাচাই করতে এগিয়ে আসবে। তাতে প্রকৃতপক্ষে দল ও দেশ উপকৃত হবে। তবে কংগ্রেসের পক্ষ নেতৃত্বের অভাব পুরণ যে সবথেকে জরুরি তাও বলেছেন তিনি।
দলের বর্তমান অবস্থা, সংকটের উপলব্ধি এবং দেশের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, যে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবেন- নিঃসন্দেহে তাঁকে কংগ্রেস দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করা এবং ভোটারদের অনুপ্রাণিত করার দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। তার একটি পরিকল্পনা থাকা উচিত। দলের সমস্যা ঠিক করা, সেইসঙ্গে ভারতের জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি। সর্বোপরি, একটি রাজনৈতিক দল দেশের সেবা করার একটি হাতিয়ার, নিজের মধ্যে শেষ নয়। এমনটাও তিনি বলেছেন।
শশী থারুর G-23 দলের একজন সদস্য- যাঁরা সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে কংগ্রসেরে পূর্ণ সময়ের সভাপতি নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ট হলেও শশী থারুর দলের নির্বাচন যে চাইছেন তা একাধিকবার বলেছেন। আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ হবে। ফল প্রকাশ ১৯ অক্টোবর।
'আশঙ্কা' সত্যি করেই অভিষেককে নোটিশ কয়লাকাণ্ডে, শুক্রবার হাজিরার নির্দেশ ED-র
'রাজনীতিতে আগ্রহ নেই রাহুল গান্ধীর', দল ছাড়ার পরেও আজাদের নিশানায় কংগ্রেস নেতা
'ক্ষমতার দম্ভে মত্ত কেজরিওয়াল', চিঠি লিখে শিষ্যকে কর্তব্য মনে করালেন গুরু আন্না হাজারে