ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, ৪৫ দিন বিনা ভিসাতেই থাকতে পারবেন মুজিব কন্যা। যদিও দু'দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার ফলে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের উপরে বিশেষ চাপ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
বাংলাদেশে কোটা সংরক্ষণের দাবিতে যে ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তার আকার এতটাই মারাত্মক হয়ে উঠেছিল যে দাবি ওঠে শেখ হাসিনা সরকারের ইস্তফার। অবশেষে চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন হাসিনা। প্রধানমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়ে প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন শেখ হাসিনা। ঢাকা থেকে আগরতলা হয়ে বিশেষ বিমানে চেপে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পৌঁছন তিনি।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী, ৪৫ দিন বিনা ভিসাতেই থাকতে পারবেন মুজিব কন্যা। যদিও দু'দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি থাকার ফলে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ভারতের উপরে বিশেষ চাপ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
বিনা ভিসাতে আর মাত্র ১৩ দিন ভারতে থাকতে পারবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই মুজিব কন্যাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মোদী সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাতে চলেছে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতপুষ্ঠ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
কিন্তু সূত্রের খবর, বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিচ্ছে না মোদি সরকার। বাংলাদেশে ফেরত পাঠালে মুজিব কন্যার জীবন বিপন্ন হতে পারে কিংবা তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকার ফাঁসিতে ঝোলাতে পারে এমন সম্ভাবনা থাকায় হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর ঝুঁকি নিচ্ছে না দিল্লি। কিন্তু বাংলাদেশ চাইলেই মুজিব কন্যাকে ঢাকার হাতে যে মোদি সরকার তুলে দেবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।