আমিষ নয়, মুরগির মাংস এবং ডিমকে নিরামিষ পদ হিসেবেই গণ্য করা হোক। সম্প্রতি এমনই আজব দাবি তুলে সংসদে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন এক শিবসেনা সাংসদ।
সঞ্জয় রাউত নামে ওই সাংসদের এহেন আজব দাবির কথা প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে নেট দুনিয়ায় তুমুল ব্যঙ্গ বিদ্রুপ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- ভারতীয়রা বাঁদরের সন্তান নয়,ডারউনের বিবর্তনবাদকে আবারও অস্বীকার করলেন এই বিজেপি সাংসদ
গত সোমবার রাজ্যসভায় আয়ুশ মন্ত্রকের মন্ত্রীর কাছে মুরগি এবং ডিমকে নিরামিষ খাবার হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানান সঞ্জয় রাউত। শিবসেনা সাংসদের এমন দাবিতে স্বভাবতই সতীর্থ সাংসদদের চোখ ছানাবড়া। তা বুঝতে পেরেই নিজের দাবির স্বপক্ষে যুক্তি পেশ করেন শিবসেনা সাংসদ।
সঞ্জয় রাউত বলেন, একবার তিনি নন্দুরবার অঞ্চলে গিয়েছিলেন। সেখানকার আদিবাসীরা তাঁকে আয়ুর্বেদিক মুরগির মাংস খেতে দিয়েছিলেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা নাকি দাবি করেছিলেন, ওই মাংস খেলেই রোগ সেরে যাবে।
আরও পড়ুন- ঈশ্বরের সরকার, উৎখাত করলে...বিজেপিকে আটকাতে অস্ত্র বাইবেল! অভিযোগ কালাজাদুরও
এর পরেই সবাইকে চমকে দিয়ে সঞ্জয় রাউত বলেন, যেহেতু মুরগিকে আয়ুর্বেদিক খাবারই খাওয়ানো হবে, তাই তার মাংস এবং ডিম নিরামিষ পদ হিসেবেই নিরামিষাশীরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন।
শুধু তাই নয়, চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আয়ুর্বেদিক ডিম তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও দাবি করেন শিবসেনা সাংসদ। এমন গবেষণায় আরো জোর দিতে মন্ত্রীর কাছে দশ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।
শিবসেনা সাংসদের এমন দাবি শুনে হাসির ফোয়ারা উঠেছে নেট দুনিয়ায়। টুইটারে একজন প্রশ্ন করেছেন, মুরগির মাংস আর ডিম নিরামিষ হলে খাসির এবং গরুর মাংস কী দোষ করলো! কেউ কেউ আবার গরুর মাংসকে মাশরুম বলে চালানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। আর একজন টুইটার ব্যবহারকারীর প্রশ্ন, মুরগি এবং ডিম আয়ুর্বেদিক হলে খাসি এবং গরুর মাংস কি হোমিওপ্যাথির অন্তর্গত হবে? আর সব শেষে মোক্ষম কটাক্ষটি ছুড়ে দিয়ে জানতে চেয়েছেন, আয়ুর্বেদ খাবার খেয়ে মুরগিরা কি সংস্কৃতয় কোঁকর কোঁ করবে?