'খুনি প্রেমিক' আফতাবের নার্কো টেস্টের অনুমতি আদালতের, বাড়ানো হল পুলিশ হেফাজতের দিন

আফতাব আমিন পুনাওয়ালার নার্কো টেস্ট হবে। অনুমতি দিল দিল্লি আদালত। দিল্লি পুলিশের হেফাজতের আর্জিও মেনে নিয়েছে আদালত। আদাসতের বাইরে ফাঁসির দাবি ওঠে।

Web Desk - ANB | Published : Nov 17, 2022 12:01 PM IST / Updated: Nov 19 2022, 12:17 AM IST

৬ মাস আগের শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের রহস্য সমাধানের জন্য দিল্লির আদালত মূল অভিযুত্ত আফতাব আমিনের নার্কো পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। পাশাপাশি মূল অভিযুক্ত আফতাবের পুলিশ হেফাজতের সময়সীমা আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার শ্রদ্ধা হত্যামামলার শুনানি হয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে। পুলিশের অনুমান ছিল আদালতে আফতাব আমিনকে পেশ করার সময় তার ওপর হামলা হতে পারে। আর সেই কারণে অভিযুক্তের নিরাপত্তার জন্য ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়াকারের প্রেমিক আফতাব আমিনকে। শনিবার পেশ করা হয়েছিল আদালতে। প্রথম দফায় পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশের পর এবারও পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। বলা হয়েছে তদন্তের এখনও বাকি রয়েছে। আর সেই কারণে হেফাজতের সময়সীমা বাড়ানো প্রয়োজন।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, আফতাব আমিন পুনাওয়ালা- এখনও পর্যন্ত দিল্লি পুলিশের কাছে অনেক কিছুই স্বীকার করেছে। খুনের কথা ও খুনের পদ্ধতির কথাও সে স্বীকার করেছে। কিন্তু আফতাদের স্বিকারোক্তির সঙ্গে মেলে না, এমন অনেক তথ্য পুলিশের হাতে রয়েছে। যগুলি খতিয়ে দেখতে চায়। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে হিমাচল প্রদেশও নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এদিনও আদালতের বাইরে আফতাদের ফাঁসির দাবি জানায় ক্ষুব্ধ জনতা।

পূর্ব দিল্লির ত্রিলোকপুরী এলাকা থেকে একটি কাটা মাথা ও একটি কাটা হাত উদ্ধার হয়েছে। মাথা ও হাত বিকৃত অবস্থায় পড়েছিল বলেও পুলিশ সূত্রের খবর। দেহের অংশগুলি কার - তাই নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান কাটা মাথা আর হাত আফতাব আমিন-এর লিভ ইন পাটনার শ্রদ্ধা ওয়াকের। আর সেই কারণে ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলি ফরেনসিক তদন্তের জন্য ল্যাবরেটারিতে পাঠান হয়েছে। সেগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।

পুলিশ সূত্রের খবর শ্রদ্ধার পরিচিতি নষ্ট করে আফতার তার মুখ বিকৃত করে দিয়েছিল। পাশাপাশি আফতাব শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল। দিল্লি পুলিশ যে কাটা মুণ্ড উদ্ধার করেছে সেটিও সনাক্ত করা যাচ্ছে না। আর সেই কারণে ডিএনএ ও ফরেন্সিট টেস্টের প্রয়োজন রয়েছে বলে দিল্লি পুলিস সূত্রের খবর।

Share this article
click me!