শ্রদ্ধাকে খুনের পরেই বন্ধুর সঙ্গে চ্যাট করে আফতাব, ইনস্টাগ্রাম থেকে প্রচুর তথ্য পেল পুলিশ

Published : Nov 23, 2022, 03:13 PM IST
Aftab Ameen Poonawala

সংক্ষিপ্ত

আফতাব এই বন্ধুর সঙ্গে ১৭ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড কথা বলে। এই সময় আফতাব তার বন্ধুকে বলে যে সে জানেই না শ্রদ্ধা কোথায় আছে। সে বন্ধুকে বলে শ্রদ্ধাকে বলো আমাকে ফোন করতে। অথচ তার চার মাস আগে সে নিজেই শ্রদ্ধাকে মেরে ফেলে।

প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন তথ্য সামনে আসছে শ্রদ্ধা হত্যা মামলায়। এবার পুলিশ হাতে পেয়েছে আফতাবের একটি ইনস্টাগ্রাম চ্যাট। সেটি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে পুলিশ। আফতাব তার এবং শ্রদ্ধার একজন কমন ফ্রেন্ডের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে এই কথোপকথন করেছিলেন। এই চ্যাট হয় সেপ্টেম্বর মাসে অর্থাৎ শ্রদ্ধাকে খুনের চার মাস পরের। এই আড্ডায় তার এবং শ্রদ্ধার কমন ফ্রেন্ড কেমন রয়েছে তা জানতে চাওয়ার পরে ওই বন্ধুকে আফতাব বলে, 'শ্রদ্ধাকে বলো আমাকে ফোন করতে।'

আফতাব এই বন্ধুর সঙ্গে ১৭ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড কথা বলে। এই সময় আফতাব তার বন্ধুকে বলে যে সে জানেই না শ্রদ্ধা কোথায় আছে। সে বন্ধুকে বলে শ্রদ্ধাকে বলো আমাকে ফোন করতে। অথচ তার চার মাস আগে সে নিজেই শ্রদ্ধাকে মেরে ফেলে। অথচ বন্ধুদের সামনে অভিনয় করে যে সে জানে না যে শ্রদ্ধা কোথায় রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে আফতাব বন্ধুদের সামনে এটা বোঝানোর চেষ্টা করে যে শ্রদ্ধা তাকে ছেড়ে কোথাও চলে গেছে। মুম্বাইয়ের পুলিশকে এই চ্যাটের হদিশ দেন শ্রদ্ধা ও আফতাবের এক কমন বন্ধু। পুলিশ এই বন্ধুর বয়ান রেকর্ড করেছে।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর মতে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, আফতাব শ্রদ্ধাকে খুন করতে করাত ব্যবহার করেছিল। আফতাব ১৮মে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ। এর পর সে শ্রদ্ধার মৃতদেহকে ৩৫ টুকরো করে। দিল্লি পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আফতাব শ্রদ্ধাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, আফতাব এবং শ্রদ্ধা একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। এরপর দুজনেই মুম্বইয়ের একটি কল সেন্টারে একসঙ্গে কাজ করেন। শ্রদ্ধার বাবা-মা তাদের সম্পর্কের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন, যার পরে তিনি তাদের থেকে আলাদা হয়েছিলেন এবং আফতাবের সাথে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতে শুরু করেছিলেন। এর পর দুজনেই দিল্লি চলে আসেন। এখানেও মেহরাউলিতে দুজনে একসঙ্গে থাকতেন। এখানেই ভাড়া বাড়িতে শ্রদ্ধাকে হত্যা করে আফতাব।

পুলিশ সূত্রে খবর জবানবন্দিতে আফতাব স্বীকার করেছে যে পরিচয়গোপন করতেই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল সে। আফতাবের মেহরাউলি ফ্ল্যাটে জলের বিল এসেছে ৩০০ টাকা, প্রতিবেশীদের বিল শূন্য। কারণ দিল্লিতে বিনামূল্যে দেওয়া হয় ২০ হাজার লিটার জল। পুলিশ জানতে চায় আফতাব এত জল কোথায় খরচ করেছে। জানা গিয়েছে, আফতাবের লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে হত্যার পর দেহটি ৩৫টি টুকরো করা হয়েছিল, যার জন্য শুধুমাত্র একটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। লাশ কাটার সময় আফতাব নিজেও আহত হয়। সেখানে থাকাকালীন, সে শ্রদ্ধার মৃতদেহকে ৩৫ টুকরো করতে ১০ ঘন্টা সময় নেয় এবং যতক্ষণ সে এই কাজটি করছিল ততক্ষণ স্নান চালিয়ে যায়।

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি