তিনটি হাড়ের টুকরো আর একটি ভাঙা চোয়াল উদ্ধার, সেগুলি শ্রদ্ধা ওয়াকারের কিনা জানতে পরীক্ষা দিল্লি পুলিশের

শ্রদ্ধার দেহের আরও অংশ উদ্ধার হয়েছে বলে অনুমান দিল্লি পুলিশের। উদ্ধার হয়েছে তিনটি হাড় ও একটি চোয়ালের অংশ। এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী দল।

Web Desk - ANB | Published : Nov 21, 2022 9:35 AM IST

 

শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে এখনও মৃতার দেহের অংশ খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর উদ্ধার হয়েছে কিছু হাড়গোড়ের টুকরো। সেগুলি শ্রদ্ধার বে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া হাড়গোড় পরীক্ষার জন্য ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠান হয়েছে।

তদন্তকারী একটি হাড়ের অংশ উদ্ধার করেছে বলে সূত্রের খবর। দিল্লি পুলিশের অনুমান সেটি একটি মানুষের চোয়ালের। খুলির নিচের অংশ বলেই মনে করেছে তদন্তকারীরা। এছাড়াও আরও তিনটি হাড়ের টুকরো পেয়েছে পুলিশ। সমস্ত হাড়ই একজায়গায় পাওয়া গেছে বলে সূত্রের খবর। আফতাবের বয়ান অনুযায়ী শ্রদ্ধার কাটা একটি জায়গায়ে সে ফেলেছে। আর সেই কারণেই দিল্লি পুলশ ছতারপুর এলাকার একটি পুকুরে তল্লাশির জন্য সেটির জল ছেঁচে ফেলতে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে পরবর্তী সময় সেই সিদ্ধান্ত ফের বিবেচনা করছে। সূত্রের খবর দিল্লি পুলিশ পুকুর খালি না করে ডুবুরি নামানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

যাইহোক তদন্তকারীরা এখনও খুনের প্রমাণ সংগ্রহের ওপর জোর দিচ্ছে। আর সেই কারণে আফতাবের বাড়িতেও ফরেন্সিক তদন্ত চালান শুরু হয়েছে। পুলিশ মেহরাউলির জঙ্গল থেকে শ্রদ্ধার আরও দেহাংশ আগেই উদ্ধার করেছে। অন্যদিকে আফতারের বাড়িতে তল্লাশি করে শ্রদ্ধার বেশ কিছু জামা কাপড় আর খুনের অস্ত্র উদ্ধার করেছে। আফতার খুনের কথা স্বীকার করে নিলেও দিল্লি পুলিশ তথ্য প্রমাণের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে।

অন্যদিকে এদিন আফতাবের নার্কোটেস্ট হওয়ার কথা। দিল্লির একটি হাসপাতালে এই পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে দিল্লি পুলিশের একটি দল ইতিমধ্যেই মুম্বইতে পৌঁছে গেছে। খুনের তদন্তের জন্য আরও তথ্য একত্রিত করছে। কারণ শ্রদ্ধা আর আফতাবের আলাপ বা প্রেম পর্বের শুরু মুম্বইতে। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল। তারপরই তাদের প্রেম। পরিবারের অমতেই তারা সম্পর্ক চালিয়ে যায়। মুম্বই থেকে চলে আসে দিল্লিতে। সেখানে লিভ-ইন সম্পর্ক স্থাপন করে একই সঙ্গে থাকতে শুরু করে।

কিন্তু মে মাসের আগে থেকেই শ্রদ্ধা আর আফতাবের সম্পর্কে চিড় ধরছিল। শ্রদ্ধা আফতাবকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু আফতার বিয়ের সম্পর্কে রাজি ছিল না। অন্যদিকে সংসার খরচ নিয়েও দুজনের মধ্যে গত ১৮ মে তীব্র ঝগড়া হয়। তারপরই আফতার শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর দেহ ৩৫টি টুকরো করে কেটে ফেলে। একটি নতুন ফ্রিজ কিনে সেখানেই রেখেছিল দেহাংশগুলি। ১৮টি প্ল্যাস্টিকে ভরা ছিল দেহের অংশ। প্রতিদিন রাত ২টোর সময় আফতার শ্রদ্ধার দেহের অংশ জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসত। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই এই পন্থা নিয়েছিল আফতাব। বর্তমানে দিল্লি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে আফতার। সোমবার তার নার্কো পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।

শ্রদ্ধা আর আফতাব দিল্লিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে। তাঁরা প্রতিমাসেই নিয়মিত ভাড়া মিটিয়ে দিত। আর সেই কারণে বাড়ির মালিক কোনও দিনই তাদের সন্দেহ করেনি। বাড়ির মালিক জানিয়েছেন তিনি তাদের ঘর ভাড়া দেওয়ার পর আর কোনও দিন সেই বাড়িতে আসেননি। আফতাব অনলাইনে ভাড়া দিয়ে দিতেন বলেও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ 

ভারত জোড়ো যাত্রায় সামিল মেধা পাটেকর, রাহুল গান্ধীকে গুজরাট বিরোধী বলে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী মোদীর

১১ বছরের প্রেমের পরিণতির পথে কাঁটা শ্রদ্ধা হত্যা-কাণ্ড, বন্ধ হয়ে গেল এক দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠান

শ্রদ্ধার কাটা মাথার সন্ধান, পুকুর ছেঁচে খালি করে চিরুনি তল্লাশি দিল্লি পুলিশের

 

 

Share this article
click me!