Shraddha Murder Case-পরিচয় গোপন করতে মুখ পুড়িয়ে ফেলা হয়, ইন্টারনেটে দেহ লুকানোর উপায় খোঁজে আফতাব

পুলিশ জানিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আফতাব কোথায় দেহ লুকোবে তা জানতে ইন্টারনেট সার্চ করে। কোন জায়গায় দেহ রাখলে বাড়িতে আসা কোনও ব্যক্তি তার হদিশ পাবে না, তারও ব্যবস্থা সে করে ইন্টারনেট ঘেঁটে।

Web Desk - ANB | Published : Nov 17, 2022 9:49 AM IST

শ্রদ্ধা হত্যামামলায় প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর জবানবন্দিতে আফতাব স্বীকার করেছে যে পরিচয়গোপন করতেই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল সে। দিল্লিতে ২৭ বছর বয়সী শ্রদ্ধাকে হত্যার অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে বৃহস্পতিবার সাকেত আদালতে পেশ করা হয়। দিল্লি পুলিশ হেফাজত বাড়ানোর দাবি জানাবে বলে সূত্রের খবর।

আফতাবের মেহরাউলি ফ্ল্যাটে জলের বিল এসেছে ৩০০ টাকা, প্রতিবেশীদের বিল শূন্য। কারণ দিল্লিতে বিনামূল্যে দেওয়া হয় ২০ হাজার লিটার জল। পুলিশ জানতে চায় আফতাব এত জল কোথায় খরচ করেছে। জানা গিয়েছে, আফতাবের লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে হত্যার পর দেহটি ৩৫টি টুকরো করা হয়েছিল, যার জন্য শুধুমাত্র একটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। লাশ কাটার সময় আফতাব নিজেও আহত হয়। সেখানে থাকাকালীন, সে শ্রদ্ধার মৃতদেহকে ৩৫ টুকরো করতে ১০ ঘন্টা সময় নেয় এবং যতক্ষণ সে এই কাজটি করছিল ততক্ষণ স্নান চালিয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আফতাব কোথায় দেহ লুকোবে তা জানতে ইন্টারনেট সার্চ করে। কোন জায়গায় দেহ রাখলে বাড়িতে আসা কোনও ব্যক্তি তার হদিশ পাবে না, তারও ব্যবস্থা সে করে ইন্টারনেট ঘেঁটে। আরও একটি সূত্র খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। দিল্লির দক্ষিণ জেলা পুলিশ তাদের ইস্ট জোনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। একটি মানুষের মাথা-সহ কাটা শরীরের অংশগুলির ডিএনএ নমুনা মেলানোর জন্য যোগাযোগ করেছে তারা। এই শরীরের অংশগুলি চলতি বছরের জুনের শুরুতে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

সূত্রের খবর, পূর্ব দিল্লি পুলিশ এই বছরের জুনে রাজধানীর পান্ডব নগর থানা এলাকার ত্রিলোকপুরীতে একটি কাটা মাথা এবং হাত খুঁজে পেয়েছিল, যা শ্রদ্ধাকে খুনের (১৮ই মে) প্রায় এক মাস পরে এগুলি উদ্ধার হয়। পূর্ব দিল্লির মামলায়, উদ্ধারকৃত দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকৃত অবস্থার কারণে তারা কার শরীরের অঙ্গ ছিল তা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।

পূর্ব দিল্লিতে পাওয়া দেহের অংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল, এবং শীঘ্রই ফরেনসিক রিপোর্ট আসবে। মেহরাউলি জঙ্গলে পাওয়া হাড়গুলিও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এই দুটি জায়গায় পাওয়া সমস্ত টুকরোগুলির ডিএনএ রিপোর্টের সাথে মেলাবে। পাওয়া দেহের অংশগুলি শ্রদ্ধার ছিল কিনা তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে বলে সূত্র জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা পুলিশ পূর্ব জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পূর্ব জেলা পুলিশ সমস্ত তথ্য দক্ষিণ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। সূত্র অনুসারে, আফতাব তার জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে বলেছিল যে শ্রদ্ধাকে হত্যা করে তার দেহ ৩৫ টুকরো করার পরে, সে প্রথমে সেই অংশগুলি ফেলেছিল যেগুলি দ্রুত দুর্গন্ধ হতে পারে। অভিযুক্ত আফতাব পুলিশকে বলেছে যে সে প্রমাণ নষ্ট করার জন্য ব্লিচ ব্যবহার করেছিল, এবং রাসায়নিকও ব্যবহার করেছিল যাতে রক্তের একটি দাগও মেঝেতে না থাকে।" পুলিশকে আফতাব আরও জানায় শ্রদ্ধার শরীরের সমস্ত অংশ জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল সে, তবে বাম বুড়ো আঙুল অন্য কোনও জায়গায় ফেলেছিল।"

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে তার মুখে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। "পুলিশ অফিসার অভিযুক্তের সাথে হিন্দিতে কথা বললে সে ইংরেজিতে জবাব দেয়। সারা রাত সে থানায় লকআপে শান্তিতে ঘুমায়। খুনের পর অভিযুক্ত আফতাবের বন্ধুরাও বাড়িতে আসে..কিন্তু সেই সময় সে দেহের অংশগুলি অন্য কোথাও লুকিয়ে রেখেছিল,” বলে সূত্র জানাচ্ছে।

Share this article
click me!