শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, উদ্ধার একটি আধ-পচা কাটা মাথা ও হাতের অংশ

শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের রহস্যের জট কাটাতে নাজেহাল দিল্লি পুলিশ। ৬ মাসের আগের হত্যাকাণ্ড প্রমাণ জোগাড় করতে ঘুম ছুটেছে পুলিশের। ত্রিলোকপুরী থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কাটা মুণ্ড আর হাত।

 

Web Desk - ANB | Published : Nov 17, 2022 7:40 AM IST

শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। দিল্লি পুলিশের হাতে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কারণ পূর্ব দিল্লির ত্রিলোকপুরীএলাকা থেকে একটি কাটা মাথা ও একটি কাটা হাত উদ্ধার হয়েছে। মাথা ও হাত বিকৃত অবস্থায় পড়েছিল বলেও পুলিশ সূত্রের খবর। দেহের অংশগুলি কার - তাই নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান কাটা মাথা আর হাত আফতাব আমিন-এর লিভ ইন পাটনার শ্রদ্ধা ওয়াকের। আর সেই কারণে ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া দেহাংশগুলি ফরেনসিক তদন্তের জন্য ল্যাবরেটারিতে পাঠান হয়েছে। সেগুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।

অন্যদিকে এদিন শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনেক মূল অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালাকে আজ আদালতে পেশ করা হবে। তদন্তের স্বার্থে আফতাবকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে দিল্লি পুলিশ।

দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর ত্রৈলোকপুরী থেকে যে কাটা মাথাটি উদ্ধার হয়েছে সেটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে সনাক্ত করা যাচ্ছে না। অন্যদিকে হাতটিও আধ-পচা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। আর সেই কারণে ডিএনএ টেস্টের প্রয়োজন।

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। কিন্তু খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্রদ্ধার দেহ ৩৫টি টুকরো করেছিল। তা রাখার জন্য একটি ফ্রিজারও কিনেছিল। তবে শ্রদ্ধার দেহ কাটার সময় রক্তপাত হয়। সেই রক্তের দাগ পরিষ্কার করা আর প্রমান নিশ্চিহ্ন করার জন্য রাসায়নিক সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগল সার্চ করেছিল। দিল্লি পুলিশ আরও বলেছিল খুনের পর ঠান্ডা মাথায় সবকিছু পরিকল্পনা করেছিল। শ্রদ্ধাকে খুনের পর লাশ বাথরুমে রেখে দিয়েছিল। তারপর দোকানে গিয়ে ফ্রিজ কিনে এনেছিল। তারপকই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিল।

শ্রদ্ধার শেষ অবস্থান জানতে দিল্লি পুলিশ তার মোবাইল লোকেশনও ট্র্যাক করে। জানতে পারে দিল্লিতেই ছিল ১৮ মে পর্যন্ত। তারপর আর শ্রদ্ধার কোনও সন্ধান পায়নি। সবকিছু দেখেই ১০ নভেম্বর দিল্লি পুলিশ এফআইর করে। তারপরই গ্রেফতার করে আফতাবকে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, মুম্বইয়ের ডেটিং অ্যাপে প্রথম পরিচয়। তারপর প্রেম। পরিবারের অমতে দুজনেই চলে আসে দিল্লি। কিন্তু বিয়ে নিয়ে নিজেদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। তারপরই শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব।

আরও জেরার পর খুনের কথা স্বীকার করে নেয় আমিন পুনাওয়ালা। জানিয়েছে পুরো ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু দেহাংশা। যেগুলি ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠান হয়েছে। খুনের অস্ত্র হিসেবে যে ছুরি ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ছুরিটি কোনও একজন প্রশিক্ষিত শেফের বলেও পুলিশের অনুমান। আর সেই কারণে সেই শেফের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পুলিশের অনুমান আমিন একা নয়- শ্রদ্ধাকে খুনের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িয়ে রয়েছে। তাই ঘটনার আরও তদন্তের প্রয়োজন।

আরও পড়ুনঃ

 

Share this article
click me!