খুবই তাড়াতাড়ি পেশ করা হবে শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের চার্জশিট। একিট রিপোর্ট তৈরি হয়ছে। সেটি পরীক্ষা করছে আইন বিশেজ্ঞরা।
শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডে তিন হাজার পাতার চার্জশিট তৈরি করছে দিল্লি পুলিশ। সূত্রের খবর চার্জশিটে ১০০ জন সাক্ষী ছাড়াও ফরেনসিক ও ইলেকট্রনিক্স রিপোর্টকেও আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। দিল্লির মেহেরুউলির বাসিন্দা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যার অভিযোগে বর্তমানে জেলবন্দি আফতাব আমিন পুনাওয়ারা। অভিযোগ শ্রদ্ধাকে হত্যা করে সে প্রমান লোপাটের কারেই মহিলার দেহ ৩৫টি টুকরো করে দেহ জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল। শ্রদ্ধা ছিল আফতাবের সহবাসসঙ্গী। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর প্রাথমিকভাবে চার্জশিটের খসড়া তৈরি হয়েছে। এখন তা খতিয়ে দেখছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে এই বিষেয় যাতে কোনও গলদ না থাকে তারই প্রস্তুতি নেওয়া বয়েছে।
গত বছর ১৮ মে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে ছাতারপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তারপর করাত জাতীয় জিনিস দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে মৃতার সহবাসসঙ্গী আফতাব। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে গত নভেম্বর মাসে। তারপরই শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু হয়। আফতাবকে গ্রেফতার করে। আফতাব শ্রদ্ধাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করলেও তদন্তকারীদের একাধিক বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আফতাবের নার্কো অ্যানালিসিস হয়। সেই রিপোর্টও চার্জশিটে থাকছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
গত ৪ জানুয়ারি দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ছাতারপুর জঙ্গল থেকে যে দেহাংশ বা হাড়গোড়ের অংশ উদ্ধার হয়েছে, তারসঙ্গে মিলে গেছে শ্রদ্ধা ওয়াকারের ডিএনএ রিপোর্ট। ডিএনএ রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য আগেই শ্রদ্ধার বাবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর এই রিপোর্ট তাদের চার্জশিটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর পচনশীল প্রায় ১৩টি দেহাংশ উদ্ধার করেছিল তারা। যার অধিকাংশই হাড়গোড়ের টুকরো। সেগুলি প্রায় প্রত্যেকটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে সেগুলি সবকটি শ্রদ্ধার কিনা তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি দিল্লি পুলিশ।
শ্রদ্ধা ওয়াকারের ফোন রেকর্ডের বিস্তারিক তথ্যও আদালতে পেশ করা হয়েছে। সঙ্গে পেশ করা হয়েছে শ্রদ্ধার ফোন কিভাবে আর কী কী ক্ষেত্রে আফতাব ব্যবহার করত। এই বক্তব্যের সমর্থনেও একগুচ্ছ নথি পেশ করেছে দিল্লি পুলিশ। সেই সঙ্গে পেশ করা হয়েছে শ্রদ্ধার ব্যাঙ্কের বইয়ের আপডেট। তাতেই স্পষ্ট করে বলা হয়েছে শ্রদ্ধাকে হত্যার পরে আফতাব কীভাবে তাঁর সহবাসসঙ্গীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নিত্য টাকা পয়সা তুলতো। আফতাদের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ফ্রিজের ফরেনসিক পরীক্ষা হয়েছে। তদন্তকারীদের আফতাজ জানিয়েছিল শ্রদ্ধাকে হত্যার পরে সে শ্রদ্ধার দেহ রাখার জন্য একটি ৩০০ মিলিলিটারের ফ্রিজ কিনেছি। সেই ফ্রিজেরও পরীক্ষা হয়েছে। রিপোর্টও রয়েছে তদন্তকারীদের চার্জশিটে।
আরও পড়ুনঃ
ভারত দর্শন: মোদী থেকে রাহুল গান্ধী, এক নজরে দেখে নিন সপ্তাহের সেরা ৭টি খবর
গণধর্ষণের পরেও রেহাই নেই! মেডিক্যাল টেস্টের জন্য নির্যাতিতাকে পুলিশ ভ্যানে থাকতে হল টানা ১২ ঘণ্টা
Netaji's birthday:নেতাজির সঙ্গে আরএসএস-এর আদর্শ খাপ খায় না, জন্মদিন পালন নিয়ে কড়া বার্তা মেয়ের