Sikkim floods: জলের তোড়ে ভেসেছে সেতু-উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক দেহ, প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত সিকিম

বরদাং এলাকা থেকে নিখোঁজ ২৩ জন সেনার মধ্যে সাতজনের মৃতদেহ বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি নিখোঁজ সেনাদের খোঁজে সিকিম ও উত্তর বঙ্গের নানা এলাকায় তল্লাশি চলছে।

সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যায় মর্মান্তিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিন দিন পরও এর ধ্বংসযজ্ঞ থামেনি। বন্যার কারণে নিচু এলাকায় পাওয়া মৃতদেহের সংখ্যা বেড়ে ২৬ হয়েছে, এবং প্রচুর মানুষ এখনও নিখোঁজ। নিহতদের মধ্যে সাত সেনা জওয়ানও রয়েছেন। কর্মকর্তারা বলেছেন যে ১৪২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে, প্রায় ২,৪১৩ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ত্রাণ শিবিরে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং রাজ্যের আকস্মিক বন্যায় প্রাণ হারানো প্রত্যেকের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। তিনি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া প্রত্যেককে দু হাজার টাকা ত্রাণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন।

প্রেম সিং তামাং বলেন, 'হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আমরা সঠিক তথ্য দিতে পারব না, কমিটি গঠন করে বিশ্লেষণ করলেই তা জানা যাবে। আমাদের প্রথম কাজ হল আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করা এবং তাদের তাৎক্ষণিক ত্রাণ দেওয়া। জেলার মধ্যে রাস্তা যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে এবং সেতুগুলো ভেসে গেছে। উত্তর সিকিমে যোগাযোগ পরিষেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Latest Videos

তামাং বলেছেন যে বরদাং এলাকা থেকে নিখোঁজ ২৩ জন সেনার মধ্যে সাতজনের মৃতদেহ বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি নিখোঁজ সেনাদের খোঁজে সিকিম ও উত্তর বঙ্গের নানা এলাকায় তল্লাশি চলছে। সিকিম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাকিয়ং জেলায় সাতজন সেনা সহ মোট ১৬ জন, গ্যাংটকে ছয়জন এবং মাঙ্গান জেলায় চারজন মারা গেছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে কথা বলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিকিমের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য রাজ্য বিপর্যয় সাড়া তহবিলের (এসডিআরএফ) কেন্দ্রীয় অংশ থেকে রাজ্যকে ৪৪.৮ কোটি টাকা অগ্রিম অর্থ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, লোনাক হ্রদে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়, বিপুল পরিমাণ জল জমা হয়ে চুংথাং বাঁধের দিকে এগোতে থাকে। প্রবল জলের তোড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভেসে যায়। নিচু শহর ও গ্রাম প্লাবিত করে। বন্যায় রাজ্যের ১৩টি সেতু ভেসে গেছে, যার মধ্যে শুধুমাত্র মাঙ্গান জেলার আটটি রয়েছে। গ্যাংটকের তিনটি এবং নামচির দুটি সেতু ভেসে গেছে। বন্যা চুংথাং শহরে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে এবং এর ৮০ শতাংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Share this article
click me!

Latest Videos

আর ৮ মাস! জুলাই-অগাস্টে রাজ্যে অকাল ভোট হতে চলেছে! জানালেন BJP সাংসদ | BJP News | Samik Bhattacharya
অসাধ্য সাধন! যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকার সত্ত্বেও ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তুলল বারাসাত মেডিক্যাল
TMC-কে ভোট দিলেই মিলছে ঠোঙা ভর্তি মুড়ি ও চানাচুর! শোরগোল মেদিনীপুরে | Midnapore | WB By election
'ভাইপোর চাকর পুলিশ কেন বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করল?' গর্জে উঠে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today