স্টেশন মাস্টার দ্রুত ইউপি নাগেরকয়েল-মুম্বাই সিএসএমটি এক্সপ্রেসের লোকো পাইলটের সাথে যোগাযোগ করেন এবং পাথরটি সরানো পর্যন্ত ট্রেনটি আটকে রাখা হয়।
শুক্রবার পুনে শহরের কাছে আকুর্দি এবং চিঞ্চওয়াদ স্টেশনের মাঝে বড় দুর্ঘটনা এড়াল রেল। এই রেল ট্র্যাকে কেউ বা কারা বড় বড় বেশ কয়েকটা পাথর রেখে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু সময়মতো তা চোখে পড়ে রেলকর্মীদের। লাইনে আসা মুম্বাইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের চালককে সতর্ক করা দেওয়া হয়। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। বহু যাত্রীর প্রাণও বাঁচে। রেল কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। পুনেগামী ট্রেন লাইনের একজন নিরাপত্তারক্ষী পাথরগুলো দেখতে পেয়ে চিঞ্চওয়াড় স্টেশন মাস্টারকে জানান। এর পরে, চিঞ্চওয়াড়ের স্টেশন মাস্টার ১৬৩৫২ উত্তরপ্রদেশ নাগেরকয়েল-মুম্বাই ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (CSMT) এক্সপ্রেসের লোকো পাইলটকে সতর্ক করেন। উল্লেখ্য, ওই ট্রেনটিই সেইসময় ট্র্যাকে আসছিল।
রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্র্যাক থেকে পাথর সরানো পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF) এবং গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (GRP) এই কাজের জন্য দায়ী দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করেছে। রেলের এক সিনিয়র আধিকারিক বলেছেন, “লোনাভালা-পুনে শহরতলির ট্রেনের গার্ড সন্দীপ ভালেরাও পাশের ট্র্যাকে পাথরগুলি লক্ষ্য করেছিলেন এবং চিঞ্চওয়াড় স্টেশন মাস্টারকে জানান।
স্টেশন মাস্টার দ্রুত ইউপি নাগেরকয়েল-মুম্বাই সিএসএমটি এক্সপ্রেসের লোকো পাইলটের সাথে যোগাযোগ করেন এবং পাথরটি সরানো পর্যন্ত ট্রেনটি আটকে রাখা হয়।” তিনি বলেন, রেলের কর্মচারীরা সময়মতো দুষ্কৃতীদের এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পেরেছিল, যার কারণে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।
এক মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ঘটনা। ২রা অক্টোবর বন্দে ভারতকে লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়। জেনে রাখা ভালো যে ২রা অক্টোবর, উদয়পুর-জয়পুর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস একটি বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল। আসলে, রেললাইনের উপর পাথর রাখা হয়েছিল। সৌভাগ্যক্রমে শ্রমিকরা সময়মতো রেললাইন থেকে এসব পাথর সরিয়ে ফেলেছে। তবে, রাজস্থান পুলিশ পরে বলেছিল যে দুটি শিশু খেলার সময় ট্র্যাকে পাথর ও লাঠি রেখেছিল।