ফের দৈনিক সংক্রমণ ৬০ হাজারের উপরে, দ্রুত ভ্যাকসিন আনতে ৩,০০০ কোটির কোভিড সুরক্ষা ফান্ডের ভাবনা

  • দেশে মোট করোনা আক্রান্ত সাড়ে ৩১ লক্ষের বেশি
  • মোট মৃতের সংখ্যা ৫৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে
  • তবে সুস্থতার হার ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে ভারতে
  • গত ২৪ ঘণ্টায় ফের ৯ লক্ষের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে

Asianet News Bangla | Published : Aug 25, 2020 4:58 AM IST / Updated: Aug 25 2020, 10:32 AM IST

আরও একবার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশে ৬০ হাজারের উপরে। তবে সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৯৭৫ জন। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩২৪।

সোমবারও দেশে করোনায়া দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৯০০ নিচে ছিল। মঙ্গলবারও চিত্রটা একই থাকল। এরআগে টানা ৮দিন দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৯০০ গণ্ডি ছাড়িয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিড ১৯ রোগে মৃত্যু হয়েছে ৮৪৮ জনের। ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ৩৯০।

 

এসবের মধ্যে সবচেয়ে আশার খবর সুস্থতার হার। ইতিমধ্যে দেশে করোনা জয়ীর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৪ লক্ষ ৪ হাজার ৫৮৫। ফলে ভারতে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৭লক্ষ ৪ হাজার ৩৪৮। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৫.২৭ শতাংশ। মৃত্যু হার ২ শতাংশের নিচেই রয়েছে।

আরও পড়ুন: এর গোপন শক্তিকে ভয় পান জিনপিং ও ইমরানও, ভারতীয় সেনার সবথেকে ভয়ঙ্কর অস্ত্র 'কালি'র বিশেষত্ব জানেন

রবিবার দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার হার ছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। মাত্র ৬ লক্ষ  নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। তবে চিত্রটার বদল হল সোমবারই।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী,সোমবার গোটা দেশে ৯ লক্ষ ২৫ হাজার৩৮৩  কোভিড টেস্ট হয়েছে।  সব মিলিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৮  লক্ষ ২৭  হাজার ৫২০ টি নমুনার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে।  

 

 

এদিকে দেশে যত দ্রুত সম্ভব এমন করোনা ভ্যাকসিন আনতে চাইছে কেন্দ্র  যা নিরাপদ ও কার্যকর হবে, দামেও হবে সস্তা, পাশাপাশি দ্রুত পৌঁছে দেওযা যাবে দেশবাসীর কাছে। এ জন্য এবার মিশন কোভিড সুরক্ষা নামে ৩,০০০ কোটি টাকার একটি ফান্ড তৈরির প্রস্তাব করল কেন্দ্র। বায়োটেকনোলজি বিভাগ জানিয়েছে, এই প্রস্তাবিত মিশন করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল স্টেজ থেকে তার উৎপাদন সম্পর্কিত যাবতীয় খুঁটিনাটিতে নজর রাখবে।

এই মিশনের লক্ষ্য হবে, অন্তত ৬টি করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন করা, সেগুলোর লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা, জরুরি ভিত্তিতে যাতে ব্যবহার করা যায় তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাজারে নিয়ে আসা। এই প্রস্তাবিত মিশনের ব্যাপারে কেন্দ্র এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি, তবে নানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন একটি প্রস্তাব করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল, বেজিং-ইসলামাবাদ গোপন আঁতাত নিয়ে ফুঁসছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর

খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী,  মিশনের বাজেট হবে ৩,০০০ কোটির মত, সময়সীমা ১২ থেকে ১৮ মাস। এদের কাজ হবে, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ করোনা টিকা তৈরি হচ্ছে কিনা তা দেখা, তারপর তা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক মারফত জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সংযুক্ত করা। তবে তার আগে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন ওই ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দেবে। 

করোনা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য দেশের নানা সংস্থা এখন কোমর বেঁধে নেমেছে। যতগুলি ভারতীয় সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে, প্রত্যেককে সাহায্য করবে এই মিশন। তারপর সবার আগে সফল টিকা ভ্যাকসিন  করা সংস্থাকে বেছে নেওয়া হবে। যাতে একাধিক ভ্যাকসিন নিয়ে হুড়োহুড়ি না হয়। খসড়া বলছে, এই জাতীয় মিশনের লক্ষ্য হবে আত্মনির্ভর ভারতকে ফোকাস করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশবাসীর কাছে সস্তায় নিরাপদ ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া।  শুধু দেশ নয়, গোটা বিশ্বকে করোনা রোগ মুক্ত করাকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।

Share this article
click me!