Navy Chief: চিনা সেনার জন্য সীমান্তে জটিলতা বাড়ছে, স্বীকার নতুন নৌসেনা প্রধানের

হরি কুমার বলেন চিনের জন্য উত্তর সীমান্তের পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। নৌবাহিনী দিবস ২০২১ অনুষ্ঠানে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় বক্তৃতা দিতে গিয়ে অ্যাডমিরাল হরি কুমার বলেন যে ভারতীয় নৌবাহিনী যে কোনও সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

Parna Sengupta | Published : Dec 3, 2021 12:44 PM IST

নবনিযুক্ত ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান (Newly-appointed Indian Navy Chief) অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার (Admiral R Hari Kumar) শুক্রবার যে তথ্য স্বীকার করেছেন, তা চিন্তা বাড়াচ্ছে। এদিন হরি কুমার বলেন চিনের জন্য উত্তর সীমান্তের পরিস্থিতি(situation along the northern border) আরও জটিল হচ্ছে। নৌবাহিনী দিবস ২০২১ অনুষ্ঠানে প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় বক্তৃতা দিতে গিয়ে অ্যাডমিরাল হরি কুমার বলেন যে ভারতীয় নৌবাহিনী যে কোনও সুরক্ষা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

শুক্রবার এই অনুষ্ঠানে নৌসেনা প্রধান বলেন দেশের উত্তর সীমান্তের পরিস্থিতি এবং করোনা দুটি জটিল চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তবে ভারতীয় নৌবাহিনী উভয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। অ্যাডমিরাল বলেন COVID-19 মহামারী সত্ত্বেও, নৌবাহিনী যুদ্ধ এবং মিশনের প্রস্তুতি বজায় রেখেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য নির্মিত ৩৯টি যুদ্ধজাহাজ এবং সাবমেরিনের মধ্যে ৩৭টি 'মেক ইন ইন্ডিয়া'-এর অধীনে ভারতে নির্মিত হয়েছে। যা আত্মনির্ভর ভারতকে নতুন দিশা দেখিয়েছে। 

তিনি বলেন নৌ সেনার কাছে একটি ১০ বছরের রোড ম্যাপ রয়েছে, যাতে মানববিহীন বায়ু, জলের অভ্যন্তরে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। গত ১০ বছরে চিনা নৌবাহিনী ১১০টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করেছে, যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে ভারতের কাছে। চিনা নৌবাহিনী ২০০৮ সাল থেকে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে উপস্থিত রয়েছে এবং তাদের এখানে সাত থেকে আটটি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। ভারতের বিমান এবং জাহাজের মাধ্যমে ক্রমাগত নজরদারি পর্যবেক্ষণে রয়েছে। 

এদিকে, বৃহস্পতিবারই জানা গিয়েছে পূর্ব লাদাখের চলমান অচলাবস্থার সমাধান এবং হট স্প্রিংস এলাকায় সেনা অবস্থান নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিন। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এই দুই দেশ ১৪ তম কর্পস কমান্ডার স্তরের বৈঠকে বসবে বলে খবর। চিনের তরফ থেকে এই বৈঠকে বসার আমন্ত্রণ আসতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তার পরেই দিন নির্দিষ্ট করা হবে। 

দুই পক্ষই হট স্প্রিংস এলাকায় রেজোলিউশনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসতে চলেছে। গত বছর ভারত চিন সংঘর্ষের পর এই এলাকায় সামরিক উত্তাপ এখনও কমেনি। প্যাংগং লেক এবং গোগরা হাইটসের অচলাবস্থাও আলোচনায় থাকবে। ভারত ডিবিও এলাকা এবং সিএনএন জংশন এলাকার রেজোলিউশনেরও দাবি করে আসছে যা গত বছরের এপ্রিল-মে সময়সীমার আগে ছিল। 

চিন LAC-এর খুব কাছে সেনাদের জন্য বাঙ্কার তৈরি করে লাদাখের উল্টো দিকের এলাকায় গতিবিধি সক্রিয় করেছে। ভারতও সেনাদের জন্য রাস্তা ও বাঙ্কার নির্মাণের ব্যবস্থা করে রেখেছে। মনে করা হচ্ছে এই ব্যবস্থায় দুলক্ষ সেনা প্রচন্ড শীতেও সেখানে থাকতে পারবে। 

Share this article
click me!