নখের আঁচড়ে উপড়ে গেল চোখ, লকডাউনের ফাঁকা রাস্তায় আচমকা ভালুকের হানা, দেখুন ভিডিও


হায়দরাবাদে হানা গিয়েছিল চিতা

এবার কর্ণাটকে ফাঁকা রাস্তায় হামলা চালালো ভালুক

আক্রান্ত এক বৃদ্ধার ও তাঁর ছেলে

নখের আঁচড়ে উপরে গেল বৃদ্ধার এক চোখ

amartya lahiri | Published : May 28, 2020 12:21 PM IST

হায়দরাবাদে চিতার পর এবার কর্ণাটকে ভালুক। বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণী রাজ্যের চন্নাপাটনা-য় এক বৃদ্ধার উপর হামলা চালালো একটি ভালুক। নখের আঁচড়ে মহিলাকে ক্ষতবিক্ষত করাই শুধু নয় ভালুকের হামলায় ওই মহিলা একটি চোখও নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে এদিন ভোর ৬ টায়। রামনদর জেলার বনবিভাগ জানিয়েছে, সাকাম্মা নামে ৬৫ বছরর বয়সী এক স্থানীয় বৃদ্ধা সেই সময় সদ্য ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন। ফাঁকা রাস্তায় তাঁকে সামনে পেয়েই তার উপর চড়াও হয় ভালুকটি। ভালুকটি তার চোখ উপরে নেয়। বাধা দিতে গিয়ে সাকাম্মার ছেলেও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে তাঁর প্রাণের ঝুঁকি নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। সাকাম্মা অন্য চোখে দৃষ্টি শক্তি আছে কিনা তা শুক্রবার চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখবেন।

বন বিভাগের আধিকারিরা জানিয়েছেন, ভালুকটি সম্ভবত অত্যন্ত ক্ষুদার্ত ছিল। বৃহস্পতিবার ভোর তিনটে নাগাদই এপিএমসির বাজারের দিকে ভালুকটি হানা দিয়েছিল বলে তাঁরা খবর পেয়েছিলেন। অন্তত চারজন ভাল্লুকটি দেখতে পেয়ে বন বিভাগকে সতর্ক করেছিল। ওই এলাকায় আবর্জনা ফেলার জায়গায় প্রচুর পচে যাওয়া আম ফেলা হয়েছিল। তার গন্ধেই ভালুকটি আকৃষ্ট হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

সাকাম্মা ও তার ছেলে আক্রান্ত হওয়ার পর বনবিভাগ ও পুলিশের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভালুকটি বনে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত রাত ৭টা থেকে সকাল ৭টা অবধি বাড়ির ভিতরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বনবিভাগ জানিয়েছে অনেক খুঁজেও এখনও ভালুকটিকে লোকালয়ের কোথাও পাওয়া যায়নি। এর থেকে তাদের ধারণা সে আবার বনেই ফিরে গিয়েছে। তবে ফের যদি লোকালয়ে চলে আসে, তবে তাকে ধরার চেশষ্টচা করবে বনবিভাগ। ভালুকটি পুরুষ না মহিলা কোন লিঙ্গের তা বনবিভাগ বুঝতে পারেনি।

সাকাম্মার ও তাঁর পুত্রের চিকিৎসার পুরো খরচ বন দপ্তরই দেবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে দপ্তরের আইন অনুযায়ী যেহেতু কারোর মৃত্যু ঘটেনি তাই সাকাম্মারা কোনও বাড়তি ক্ষতিপূরণ নাও পেতে পারেন। একই কারণে এই বিষয়ে কোনও মামলাও দায়ের করা হয়নি। মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে বন বিভাগ এই বিষয়ে এফআইআর করত।

লকডাউনের সময়ে রাস্তায় বিশেষ মানুষ থাকছে না বলে চন্নাপাটনা এলাকার সব বাসিন্দাদেরই বন্যজন্তুদের থেকে সাবধান থাকতে বলা হয়েছে। সংলগ্ন ৪১৫ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত জঙ্গলে চিতা, হাতি, হরিণ, সম্বর, বনেট ম্যাকাক বাঁদর, বনবিড়াল, মঙ্গুজ, হাইনা, শেয়াল, বন্য কুকুর, ভালুক, শকুন এবং আরও অনেক বন্যপ্রাণী রয়েছে।

 

Share this article
click me!