পাক রাজধানী ইসলামাবাদেও হবে রামমন্দির, সতর্ক করলেন অযোধ্যার সাধু-সন্তরা


কোভিড সংকটের মধ্যেই শুরু হয়েছে রামমন্দির তৈরির কাজ

যা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে টুইট করেছিল পাক বিদেশ মন্ত্রক

এই নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন অযোধ্যার সাধু সন্ন্যাসীরা

একই রকম উষ্মা বাবরি মসজিদের সমর্খকের গলাতেও

amartya lahiri | Published : May 28, 2020 10:55 AM IST

বুধবার পাক বিদেশ মন্ত্রক টুইট করে বলেছিল, 'বিশ্ব যখন অভূতপূর্ব কোভিড-১৯ 'এর সঙ্গে লড়ছে, সেই সময় আরএসএস-বিজেপি' সম্মিলিতভাবে 'হিন্দুত্ব' কর্মসূচির এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যস্ত। বাবরি মসজিদস্থলে মন্দির নির্মাণের কাজ এই দিকের আরও এক পদক্ষেপ এবং পাকিস্তানের সরকার ও জনগণ কঠোর ভাষায় এর নিন্দা জানাচ্ছে।'

ইসলামাবাদেও তৈরি হবে রাম মন্দির! বৃহস্পতিবার, রাম-মন্দির নির্মাণের সময় নিয়ে পাকিস্তানের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানালেন অযোধ্যার সাধু সন্ন্যাসীরা।

বুধবার পাক বিদেশ মন্ত্রক টুইট করে বলেছিল, 'বিশ্ব যখন অভূতপূর্ব কোভিড-১৯ 'এর সঙ্গে লড়ছে, সেই সময় আরএসএস-বিজেপি' সম্মিলিতভাবে 'হিন্দুত্ব' কর্মসূচির এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যস্ত। বাবরি মসজিদস্থলে মন্দির নির্মাণের কাজ এই দিকের আরও এক পদক্ষেপ এবং পাকিস্তানের সরকার ও জনগণ কঠোর ভাষায় এর নিন্দা জানাচ্ছে।'

এরপরই বৃহস্পতিবার অযোধ্যার সাধুসন্তরা পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেছেন, সীমা অতিক্রম করলে ইসলামাবাদেও একটি রাম মন্দির নির্মিত হবে। একিসঙ্গে তাঁরা ভারত সরকারের কাছে এই বিষয়ে পাকিস্তানকে সরকারি ভাবে 'উপযুক্ত' জবাব দেওয়ার আবেদন করেছেন।

রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেছেন, 'পাকিস্তানে বেশ কয়েকটি মন্দির ছিল, দেশভাগের পরে সেগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায় দেওয়ার পর আমরা আমাদের জমিতে আমাদের মন্দির তৈরি করছি এবং এই বিষয়ে পাকিস্তানের এই নির্মাণের  সময় নিয়ে প্রশ্ন করার কোন অধিকার নেই। যারা সীমান্তে আমাদের সৈন্যদের হত্যা করে ভারতের উচিত তাদের শিক্ষা দেওয়া।' মহান্ত শশীকান্ত দাস বলেছেন, 'হিন্দু হিসাবে আমাদের মন্দির নির্মাণ বা সংস্কারের স্বাধীনতা আছে এবং এই ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট আমাদের মন্দির নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। পাকিস্তানের আমাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার নেই।'

অয়োধ্যা জমি বিতর্ক মামলায় বাবরি মসজিদের পক্ষে মোকদ্দমা করা ইকবাল আনসারীর গলাতেও অযোধ্যার সাধুদের সুরই শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, 'ভারতের মুসলমানরা রাম মন্দিরের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান জানিয়েছে এবং মেনে নিয়েছে। পাকিস্তানের এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা এবং হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা বন্ধ করে উচিত। এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং আমরা জানি কীভাবে এর মোকাবিলা করতে হবে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা উচিত।'

 

Share this article
click me!