সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী লাদাখে ৪৭৭টি, উত্তরাখণ্ডে ১২৪টি, হিমাচল প্রদেশে ৫১, অরুণাচল প্রদেশে ৩৬, সিকিমে ২১ ও জম্মু ও কাশ্মীরে ৯টি তুষার চিতা রয়েছে।
তুষার চিতা- ভারতে পাওয়া বিরল প্রজাতির প্রাণীগুলির একটি। এটিকে অনেকেই পাহাড়ের ভূত বলা হয়। সম্প্রতি ভারতীয় গবেষকরা একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, গোটে দেশে প্রায় ৭১৮টি তুষার চিতা রয়েছে। যারমধ্য়ে প্রায় ২০০টিরও বেশি ছবি তারা তুলতে সক্ষম হয়েছেন। স্নো লেপার্ড পপুলেশন অ্যাসেসমেন্ট ইন ইন্ডিয়া (SPAI) প্রোগ্রামের অধীনে এই সমীক্ষা করা হয়েছে।
সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী লাদাখে ৪৭৭টি, উত্তরাখণ্ডে ১২৪টি, হিমাচল প্রদেশে ৫১, অরুণাচল প্রদেশে ৩৬, সিকিমে ২১ ও জম্মু ও কাশ্মীরে ৯টি তুষার চিতা রয়েছে। কেন্দ্রীয় পরিবেশ , বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব বুধবার ভারতের প্রথম তুষার চিতার জনসংখ্যা প্রকাশ করেছেন। পরিবেশ মন্ত্রক বলেছে, তুষার চিতাবাঘের দীর্ঘস্থায়ী বেঁচে থাকা নিশ্চিত করার জন্য ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ অপরিহার্য।
তুষার চিতা নিয়ে এই সমীক্ষা রিপোর্ট আশার আলো জ্বালিয়েছে পরিবেশপ্রেমীদের মধ্যে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (IUCN) - তুষার চিতাবাঘকে 'ভালনারেবল' হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছে। লুকানোর ক্ষমতার জন্য IUCN নির্জন বিড়ালটিকে "পাহাড়ের ভূত" বলে অভিহিত করেছে, উল্লেখ্য সংখ্যা "বেশিরভাগই আবাসস্থলের ক্ষতি, শিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে হ্রাস পাচ্ছে"।
ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউআইআই) এখন একটি ডেডিকেটেড স্নো লেপার্ড সেল প্রতিষ্ঠা করবে। এই চিতাকে বাঁচাতে এই সংস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করবে। ভূপেন্দ্র যাদব ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (বিএসআই)-এর জন্য ভিশন ডকুমেন্টও প্রকাশ করেছেন। তিনি উদ্ভিদ সম্পদের টেকসই ব্যবহারের জন্য BSI-এর অন্বেষণে অগ্রণী ভূমিকার পাশাপাশি পরবর্তী দশকে WII-কে একটি বিশ্বমানের ইনস্টিটিউটে পরিণত করার লক্ষ্যগুলির রূপরেখা দেন।