নেতা বাছতে রীতিমত ৭ ঘণ্টা ধরে 'যুদ্ধ' হল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে। বেলা এগারোটা থেকে শুরু হয়েছিল বৈঠক। দীর্ঘ সময়ের বৈঠকেও নতুন কোনও নেতার নাম নিয়েই আলোচনা হয়নি বলেই সূত্রের খবর। তবে আগামী ৬ মাসের জন্য অন্তবর্তী সভানেত্রী হিসেবে দলের দায়িত্ব ভার কাঁধে তুলে নেবেন সনিয়া গান্ধী। ঠিক যেমনটা নিয়ে আসছিলেন গত এক বছর ধরে। লোকসভা নির্বাচনে হারের দায় নিয়ে দলের সভাপতির পদ ছেড়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তারপর থেকেই দলের ভার অসুস্থ সনিয়া গান্ধীর ওপর রয়েছে।
সপ্তাহ দুয়েক আগে, দলের নেতৃত্বের পরিবর্তন চেয়ে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছিলেন ২৩ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। আর সেই চিঠি নিয়ে রীতিমত কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে বিষদগার করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতাদের চিঠি লেখার সময় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কারণ সেই সময় সনিয়া গান্ধী দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিছুটা অভিযোগের সুরেই রাহুল বলেন যে কংগ্রেস নেতারা নেতৃত্বের বদল চাইছেন তাঁদের অনেকের সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত রয়েছে।
রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের জেরে রীতিম চোটে যান কপিল সিব্বাল আর গুলামনবি আদাজ। ক্ষুব্দ গুলামনবি আদাজ দল ও সমস্ত পদ ছাড়ার কথা বলেন। আর দলের বৈঠক চলাকালীন দলের কোন্দল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন কপিল সিবাল। যদিও পরে সেটি তিনি তুলে নিয়ে সুর নরম করেন। পাশাপাশি আজাদও সুর নরম করে রণেভঙ্গ দেন।
কংগ্রেসের হারানো সম্মান ফেরাতে পারে গান্ধীরাই, সনিয়া-রাহুলের পাশেই দাঁড়ালেন অধীর চৌধু
উত্তর কোরিয়ার প্রধান কিমের মৃত্যু নিয়ে জল্পনা, সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু মস্করা ..
সভাপতির পদ থেকে নিষ্কৃতী পেতে চান বলেই বৈঠকের শুরুতে জানিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। কিন্তু সেই সময়ই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বেই আস্থা রাখেন। তাঁকে সমর্থন জানান একে অ্যান্টনি। কপিল সিবার আর গুলাম নবি আজাদ যতই রাহুলে বিরুদ্ধে সরব হোক না কেন এদিন দলের আগামী সভাপতি হিসেবে আবারও উঠে আসে। যদিও সেই বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত দলের অন্দরে কোবও রকম আলোচনা হয়নি বলেই সূত্রের খবর।
ড্রাগনদের কুনজর এবার আন্দামান-লাক্ষাদ্বীপে, শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী ...