সংক্ষিপ্ত
- মায়ানমার সীমান্ত শক্তি বাড়াচ্ছে চিন
- থাই ক্যানালের কাজও শুরু হয়েছে
- আন্দামানকে ঘিরতে মরিয়া চিন
- পাল্টা শক্তি বাড়াচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী
চিনের থ্যাই ক্যানাল প্রজেক্টের কারণে এবার উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে সমুদ্র পথে। দীর্ঘ ৭০ বছর পর শুরু হয়েছে থ্যাই ক্যানাল বা ক্রা খালের কাজ। আর এই কাজে ব্যাংককের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চিন। আর এই প্রজেক্টের মূল উদ্দেশ্যই হল ব্যাংকক থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে মালয় উপদ্বীপ দিয়ে থাইল্যান্ড উপসাগর আন্দামান সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত করার। আর এই প্রজেক্ট সম্পূর্ণ হয়েগেছে সবথেকে বেশি সুবিধে পাবে চিন। কারণ কোনও রকম বাধা ছাড়াই জাহাজগুলি মালাক্কা প্রণালীতে এসে পড়বে।
ভারত মহাসাগর আর প্রশান্ত মহাসাগর মধ্যে দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা প্রায় ১২০০ কিলোমিটার কমে যাবে। কিন্তু লাদাখ সীমান্তের উত্তেজনার মধ্যেই চিনের এই পদক্ষেপে রীতিমত সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারত। ইতিমধ্যেই আন্দামান আর নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ আর লক্ষাদ্বীপের নিরাপত্তা পরিকাঠামো উন্নয়েনের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে।
কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে মায়ানমার, পাকিস্তান আর ইরানের বন্দরগুলির মাধ্যমে চিনের নৌবাহিনী ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারের একটা প্রচেষ্টা শুরু করেছে। আর সেই কারণেই ভারতীয় দ্বীপগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
শীর্ষ সেনা আধিকারিকদের মতে ভারত উত্তর আন্দামানসাগরে শিবপুরের আইএনএস কোহসায় ও নিকোবরের ক্যাম্পেবেল স্ট্রিপে বিমানবাহিনীকে সতর্ক থাকা নির্দেশ দিয়েছে। লাক্ষাদ্বীপের আকাশপথে সামরিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। আর বঙ্গোপসাগর, মালাক্কা স্ট্রেট ও আরব সাগর পর্যন্ত গোটা এলাকায় বিমানবাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আন্দামান নিকোবার ও লাক্ষা দ্বীপুঞ্জের জন্য নৌবাহিনীর শক্তি বাড়ান হয়েছে। কারণ দুটি দ্বীপপুঞ্জ এলাকাই বিশ্বের ব্যস্ততম জলপথ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। তাই এই দুটি দ্বীপপুঞ্জের দিকে কিছুটা হলেও বেশি নজর পড়বে প্রতিপক্ষের। আর সেই কারণে প্রথম থেকে বিষয়টি নিয়ে যত্নবান নিরাপত্তা আধিকারিকরা।
গালওয়ানের ওপার থেকে লানাক লা, বাড়ছে ড্রাগনের নিঃশ্বাস, রীতিমত যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে চিন .
শাশুড়িকে মারধরের 'অমানবিক' ভিডিও ভাইরাল, সন্তানদের রেকর্ডিং-এ বিপাকে পড়ল মা ...
অন্যদিকে চিন মায়ানমার এলাকায় রীতিমন নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। এবার সেই কারণে আইএনএস সহ বাকি যুদ্ধজাহাজগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এয়ারক্যাফ্টগুলিকেও মোয়াতেন রাখা হয়েছে। সেনা কর্তারা মনে করছেন চিন কুনজর রয়েছে আন্দামান আর লাক্ষাদ্বীপের দিকে।