মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন, তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরও কয়েকটি অ- বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেকেই জানিয়ে দিয়েছেন, যতই কেন্দ্রীয় সরকার আইন নিয়ে আসুক না কেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিজেদের রাজ্যে কার্যকর হতে দেবেন না তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে অবশ্য দাবি, রাজ্যগুলির ইচ্ছে না থাকলেও নয়া আইন না মেনে উপায় নেই তাঁদের।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও কেরল, পঞ্জাব, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশ নতুন আইনের বিরোধিতা করেছে। এই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদেরও সাফ কথা, তাঁদের রাজ্যে নতুন আইন কার্যকর করা হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের এক শীর্ষ কর্তাকে উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, যেহেতু নতুন এই আইন সংবিধানের সপ্তম তফশিলের কেন্দ্রীয় তালিকার সপ্তম অন্তর্ভুক্ত, তাই এই আইন রাজ্যগুলির না মেনে উপায় নেই।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওই শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, সংবিধানের কেন্দ্রীয় তালিকার অন্তর্ভুক্ত বিষয় নিয়ে পাশ হওয়া আইনকে কার্যকর করতে বাধ্য রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় আইনকে নস্যাৎ করার কোনও অধিকারকই রাজ্যগুলির নেই।
সংবিধানের সপ্তম তফশিলের অন্তর্গত কেন্দ্রীয় তালিকায় মোট ৯৭টি বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা, বিদেশ নীতি, রেল, নাগরিকত্বের মতো বিষয়গুলি।
আরও পড়ুন- জ্বলছে অসম, ভারতে সফরে আসছেন না জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে
আরও পড়ুন- আগুনে ঘি ঢাললেন অসমের স্পিকার, নাগরিকত্ব বিল নিয়ে তুললেন বড় প্রশ্ন
শুক্রবারও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আইনের বিরোধিতায় নিজের অনড় মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এই আইন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে ধ্বংস করে দেবে বলে অভিযোগ তুলেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। ছত্তিশগড়়ের মুখ্যমন্ত্রী রূপেশ বাগেলও এই আইনকে অসাংবিধানিক বলে দাবি করছেন।
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও এ দিন জানিয়েছেন, কংগ্রেস দল এই আইন নিয়ে যে অবস্থান নেবে, সেটা তাঁদের সরকারও অনুসরণ করবে। কমল নাথ বলেন, 'যে পদ্ধতি মানুষের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করে, তা আমরা মানতে যাবে কেমন?'
বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরা যত কঠোর অবস্থানই নিন না কেন, তাতে রাজ্যগুলিতে নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ণ খুব একটা কঠিন হবে না বলেই আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রীয় সরকার।