জাতীয় সঙ্গীত বদলের ডাক দিলেন বিজেপি সাংসদ, জন গণ মন-র জায়গায় চাই নেতাজি-র গান

জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের ডাক দিলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রামণিয়ন স্বামী

১৯৪৯ সালে রবি ঠাকুরের লেখা জন গন মন-কে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত করা হয়েছিল

স্বামী চান এই গানের নেতাজি সুভাষ বসু-র সংস্করণটি

১৯৪৩ সালে জন গন মন-কেই একটু পাল্টে ভারতের নির্বাসিত প্রভিন্সিয়াল সরকারের জাতীয় সঙ্গীত করেছিলেন নেতাজি

জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের ডাক দিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রামণিয়ন স্বামী। সোমবার টুইট করে তিনি বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত জন গণ মন গানটির মূল সংস্করণটির পরিবর্তে, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা আইএনএ-র সর্বাধিনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-র গৃহীত সংস্করণটিকে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত করা উচিত। কারণ, স্বামীর মতে আইএনএ-র জন গণ মন গানের সংস্করণটি অনেক বেশি দেশপ্রেমবোধক এবং সঠিক।

১৯০৫ সালে ভারত ভাগ্য বিধাতা নামে একটি কবিতা হিসাবে জন গণ মন রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯১১ সালের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে প্রথম এটি গান হিসাবে গাওয়া হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি, গানটির হিন্দি অনুবাদকেই ভারতের জাতীয় সংগীত হিসাবে গহণ করেছিল গণপরিষদ। মূল গানটিতে পাঁচটি স্তবক থাকলেও, প্রথম স্তবকটিকেই জাতীয় সংগীত হিসাবে গাওয়া হয়। মজার বিষয় হল, সংগীতটি কোনও প্রস্তাবের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংগীত হিসাবে গৃহীত হয়নি। ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ সংবিধানসভায় জন গণ মন-কে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, পরবর্তীকালে প্রয়োজন হলে গানটির কথা বদল করা যেতে পারে।

জন গণ মন আইএনএ-র অনুবাদে হয়েছিল শুভ সুখ চ্যান

আরও পড়ুন - করোনা-র উৎস কি তবে ভারতে, ২০১৯'এর গ্রীষ্মেই শুরু সংক্রমণ - বিশ্বজুড়ে হইচই

আরও পড়ুন - অন্ধ্র উপকূলে মিলছে রাশি রাশি সোনা, ঘূর্ণিঝড় নিভার ভাগ্য খুলে দিল গ্রামবাসীদের

আরও পড়ুন - মর্গে পা কাটতে যেতেই চিৎকার করে উঠল 'মরা', ভুতের ভয়ে পালালেন লাশকাটা ঘরের কর্মী

তবে তারও আগে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু স্বাধীন ভারতের নির্বাসিত সরকারের জাতীয় সংগীত হিসাবে নির্বাচিত করেছিলেন। তবে সেটি ছিল ভারত ভাগ্য বিধাতা কবিতাটির হিন্দি-উর্দু সংস্করণ। তবে অনুবাদ একেবারে অক্ষরে অক্ষরে করা হয়নি, সুরেরও অনেক তফাৎ ছিল। গানটির সুর দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রাম সিং ঠাকুরি। পরবর্তীকালে তিনি এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, রাম সিং বলেছিলেন, ১৯৪৩ সালে সিঙ্গাপুরের আইএনএ-র সম্প্রচার স্টেশনে এসে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাংলা গানটির অনুবাদ তাঁর হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন নেতাজি। অনুবাদ করেছিলেন নেতাজি নিজে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর আবিদ হাসান, মমতাজ হুসেন এবং ভোঁসলে। রাম সিং-কে নেতাজি বলেছিলেন, এমন সুর দিতে হবে, যাতে গানটি শুনে দেশবাসী ঘুমিয়ে না পড়ে, বরং যারা ঘুমিয়ে আছে, তারাও জেগে ওঠে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

প্রয়াগে ডুব দিয়ে পবিত্র স্নান সারলেন যোগী আদিত্যনাথ | CM Yogi | Prayagraj | Mahakumbh 2025 |
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury