Heat Speech: 'ধর্মের নামে আমরা কোথায় পৌঁছে গিয়েছি?' ঘৃণা বক্তৃতা নিয়ে কঠোর অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের

হেট স্পিচ মামলায় কড়া অবস্থান নিল সুপ্রিম কোর্ট । শুক্রবার এই মামলার শুনানি শীর্ষ আদালত বলেছে, হয় স্বতপ্রণোদিত ব্য়বস্থা নিতে হবে সরকারকে। নাহলে অবমাননার দায়ে পড়তে হবে। 
 

Web Desk - ANB | Published : Oct 21, 2022 3:01 PM IST

হেট স্পিচ বা ঘৃণাত্মক মামলায় বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে হেট স্পিচ বা ঘৃণাত্মক বক্তৃতা মামলায় স্বতপ্রণোদিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে রাজ্যকে। নাহল আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হবে। এখানেই শেষ নয়। সরকারের উদ্দেশ্যে আদালত বলেছে, 'এটি একবিংশ শতাব্দী। ধর্মের নামে আমরা কোথায় পৌঁছে গিয়েছি। ধর্ম নিরপেক্ষ একটি দেশে এই পরিস্থিতি অত্যান্ত বিস্ময়কর।'


রাষ্ট্র সংঘের মহাসচির আন্তোনিও গুতেরেস তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছিলেন। এই সফরেই তিনি মারবাধিকার ও ক্রমবর্ধমান ঘৃণামূলত বক্তৃতা নিয়ে ভারতের তীব্র সমালোচনা করেন। তার মাত্র দুই দিনের মাথাতেই সুপ্রিম কোর্ট হেট স্পিচ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে। 

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, 'ভারতের সংবিধান একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান। জাতি ও নাগরিকদের মধ্যে ভাতৃত্বের কল্পনা করে। দেশের প্রতিটি মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করে। দেশের একতা ও অখণ্ডতা হল প্রস্তাবনায় নিহিত নির্দেশক নীতিগুলির মধ্যে একটি।'

হেট স্পিচ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন শাহীন আব্দুল্লাহ।  তাঁর আবেদনে উল্লেখ ছিল , বিভিন্ন শাস্তিমূলক বিধান থাকা সত্ত্বেও হেট স্পিচ নিয়ে  কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সাংবিধানিক নীতিগুলিকে মৌলিক অধিকার রক্ষা করার ও সংবিধানের সুরক্ষা ও নিশ্চিত  করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আইনের শাসন বজায় রাখারও আবেদন জানান হয়েছিল।  ভারতে মুলসিম সম্প্রদায়কে টার্গেট করে ও জঙ্গি বা সন্ত্রাসবাদী আখ্যা গিয়ে ক্রমবর্ধমান আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করার আবেদন জনান হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মামলায় গোটা বিষয়টাতেই সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া গয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল। পিটিশানকারী শাহীন আব্দুল্লাহ  শীর্ষ আদালতকে দেশজুড়ে ঘৃণামূলত অপরাধ ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের ঘটনাগুলির বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত শুরু করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। 

প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল আবেদনকারীর পক্ষে সওয়াল করেন। "হিন্দু সভা" কেই তিনি উদাহরণ হিসাবে উপস্থাপন করেছেন । যেখানে পশ্চিম দিল্লির বিজেপি সাংসদ, পারভেশ ভার্মা একটি হার্ড-টু-মিস রেফারেন্সে "মুলসিম সম্প্রদায়ের লোকেদের" "সম্পূর্ণ বয়কট" করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিচারকরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য় বক্তা জগৎ গুরু যোগেশ্বর আচার্যের মন্তব্যও পড়েন। যিনি বলেছিলেন,' কেউ আমাদের মন্দিরের দিকে আঙুল তুললে তার গলা কেটে নিতে হবে।' উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যই তিনি এমন আবেদন করেন। 

এই মামলায় আদালত বলেছে, 'আমরা মনে করি মৌলিক অধিকার রক্ষা করা ও সাংবিধানিক মূল্যবোধ বিশেষ করে আইনের শাসন ও গণতান্ত্রিক চরিত্র বজায় রাখা ও সংরক্ষ করা আদালতের দায়িত্ব। কিন্তু দেশের ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রতী না থাকলে ভাতৃত্ববোধ গড়ে ওঠে না।' এরপরই আদালত উত্তর প্রদেশ, উত্তরাণ্ডের রাজ্য সরকারকে হেট স্পিচ নিয়ে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা নিয়ে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। 

'বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সব বড় দল আসবে', ভারতের পাকিস্তান সফর নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সওয়াল অনুরাগ ঠাকুরের

Holiday List 2023: ছুটির ঘণ্টা বাজাল নবান্ন, প্রকাশ আগামী বছরের ছুটির তালিকা
'মহারাজা ভোগ' থালি খেতে গিয়ে সর্বশান্ত মহিলা, ২০০ টাকার অনলাইন অর্ডার করে খোয়ালেন লক্ষ লক্ষ টাকা

Share this article
click me!