এতদিন ভারতে চায়ওয়ালা বলতে বোঝাতো শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদিকে। কিন্তু এখন ভারতবর্ষের রাজনীতিতে লাইমলাইট কাড়ছে নতুন চায়ওয়ালা। সিমলা বিধানসভা আসনে এবারে বিজেপি থেকে দাঁড়াচ্ছেন পেশায় চা -বিক্রেতা সঞ্জয় সুদ।
হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস ও বিজেপির ভোটযুদ্ধে আমি আদমি পার্টি লড়াইয়ের ময়দানে কতটা জায়গা করে নিতে পারবে সে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তার মাঝেই সিমলা বিধানসভা আসনের প্রতিদ্বন্দীকে নিয়ে শুরু হলো নয়া জল্পনা। এতদিন ভারতে চায়ওয়ালা বলতে বোঝাতো শুধুমাত্র নরেন্দ্র মোদিকে। কিন্তু এখন ভারতবর্ষের রাজনীতিতে লাইমলাইট কাড়ছে নতুন চায়ওয়ালা। সিমলা বিধানসভা আসনে এবারে বিজেপি থেকে দাঁড়াচ্ছেন পেশায় চা -বিক্রেতা সঞ্জয় সুদ।
চায়ের দোকান চালালেও রাজনীতির ময়দানে কিন্তু একেবারেই নতুন নন সঞ্জয়। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু মন্ত্রী সুরেশ ভরদ্বাজের বিরুদ্ধে তাকে দাঁড় করানোর নিয়ে বিজেপির এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো তোলপাড় গণমাধ্যমগুলি। তবে কি এটা বিজেপির নয়া ভোট -স্ট্রাটেজি ? সে নিয়েও সমালোচনার ঝড় বিশেষজ্ঞমহলে। সিমলার এই আরবান আসনের গত চার বারের বিজয়ী প্রার্থী হলেন সুরেশ। এমন দুঁদে রাজনীতিবিদকে হারানো কতটা চ্যালেঞ্জের সে বিষয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সঞ্জয় বলেন ," বিজেপি আমাকে সিমলা আরবানের মতো একটি হট সিট থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার প্রার্থী করেছে। আমার মতো একজন ক্ষুদ্র কর্মীর জন্য এটা অনেক সম্মানের।"
ছোট থেকেই দারিদ্রতার যন্ত্রনায় ঠাসা সঞ্জয়ের জীবন। ১৯৯১ সাল থেকেই সিমলায় একটা চায়ের দোকান চালিয়ে সংসার চলে তার। একসময়ের সংঙবাদপত্র বিক্রি করে কলেজের ফি পরিশোধ করতেন সঞ্জয় । কলেজ জীবন থেকেই তিনি দক্ষিণপন্থী ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত। সেই সূত্রেই তিনি যোগদান করেন আরএসএস এর "বিদ্যার্থী পরিষদ" (এবিভিপি) এর ছাত্র শাখায়। বাস স্ট্যান্ডে খবরের কাগজ বিক্রি এবং কলেজের পড়াশুনা , এভাবেই বেশ কাটছিলো । ৫ বছর এভাবে চলার পর দারিদ্রতার যন্ত্রনায় তাকে ছাড়তে হয় রাজনীতি। পরবর্তী সময় মেডিক্যাল রিপ্রেসেন্টেটিভ হিসাবে বেশ কিছুদিন কাজ করলেও। গতে বাঁধা জীবন কিছুতেই ভালো লাগতো না তার। তাই ১৯৯১ সালে চায়ের দোকান খোলেন তিনি।তার পরিবারের যাবতীয় খরচা-পাতি বহন করতো ওই চায়ের দোকান। ,তারপর থেকেই তিনি ওই অঞ্চলের সবার প্রিয় চায়ওয়ালা
টিকিট পাওয়ার পর থেকেই তার আর নরেন্দ্র মোদির তুলনা করে রটছে অনেক গল্পকথা। সুদের অবশ্য স্পষ্ট দাবি যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার তুলনা একেবারেই অনুচিত। নিউজ ওয়েবসাইটের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, "অনুগ্রহ করে মোদীজিকে আমার সাথে তুলনা করবেন না, তিনি একজন অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব, আমি তার পায়ের ধুলোর যোগ্যও নই।"
আরও পড়ুন অরুণাচল প্রদেশে সেনা হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত্যু ৫ জনের, চলছে উদ্ধার কাজ
আরও পড়ুন একি চেহারা হয়েছে! ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই রাহুল গান্ধীর এই ছবি ভাইরাল