নিউ নর্মালে নতুন স্টাইল স্টেটমেন্ট, সোনার পর এবার চাহিদা বাড়ছে হিরের তৈরি মাস্কের

  •  ২ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা খরচ করে  সোনার মাস্ক
  • পুনের এক ব্যক্তি এই মাস্ক তৈরি করেছিলেন 
  • এবার বাজারে এল সোনার ওপর হিরে বসানো মাস্ক
  •  হিরে খোদিত এই মাস্কের দাম শুনলে কপালে উঠবে চোখ

Asianet News Bangla | Published : Jul 13, 2020 7:57 AM IST / Updated: Jul 13 2020, 01:32 PM IST

করোনার বিরুদ্ধে লড়তে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু একঘেয়ে মাস্ক পড়তে অনেকেরই ভাল লাগছে না। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না পরেও উরায় নেই। এই অবস্থায় ফ্যাশন সচেতন  মানুষের কথা ভেবে বাজারে এল হিরে বসানো মাস্ক। সুরাতের এক গয়নার দোকান এই হিরো খোদিত মাস্ক তৈরি করেছে। তবে হিরে খোদিত এই মাস্কের দাম শুনলে কপালে উঠবে চোখ।

আরও পড়ুন: ফেস শিল্ড না মাস্ক, করোনা সংক্রমণ আটকাতে কাকে এগিয়ে রাখছেন বিশ্বের তাবড় বিশেষজ্ঞরা

বর্তমান করোনা যুগে মাস্ক  আমাদের জীবনেযাত্রার প্রয়োজনীয় অঙ্গ হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যেই বাজারের এসে গিয়েছে বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের মাস্ক ৷ বিয়েবাড়ির নববধূর জন্য তৈরি হচ্ছে বেণারসী কাপড়ের তৈরি মাস্ক। এমনকি কয়েকদিন আগেই সোনার মাস্কেরও দেখা মিলেছিল এদেশে। এবার গুজরাতের সুরাতে এক জুয়েলারি দোকানে তৈরি হল সোনার ওপর হিরে বসানো মাস্ক।বিয়ে বাড়ি বা অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠানের কথা মাথায় রেখে এই মাস্ক তৈরি করেছে একটি গয়নার দোকান ৷ ইতিমধ্যে এই মাস্কের চাহিদাও নাকি দেখা দিতে শুরু করেছে বাজারে। 

 

ওই গয়নার দোকানের মালিক দীপক চোকসি জানান,এক ক্রেতার কথা শুনেই প্রথম এই পরিকল্পনার তাঁর মাথায় আসে। এক ক্রেতা বর-কনের জন্যে অভিনব মাস্ক তৈরি করে দেওয়ার কথা বলেন। তারপরেই তিনি ওই ধরণের মাস্ক তৈরি শুরু করেন।

চোকসি  আরও বলেন, ওই ডিজাইনার মাস্ক পেয়ে খুব খুশি হন ক্রেতা। পরে আমরা আরো বেশি করে এই মাস্ক তৈরি শুরু করি। কারণ আগামী মাসগুলোতেও এই ধরণের মাস্কের চাহিদা থাকবে। খাঁটি হিরে এবং আমেরিকান ডায়মন্ড দুই ধরণের পাথর দিয়েই সোনার মাস্কগুলো তৈরি হয়েছে। ইয়েলো গোল্ডের উপর আমেরিকান ডায়মন্ড দিয়ে তৈরির মাস্কগুলোর দাম পড়বে ১.৫ লক্ষ টাকা। হোয়াইট গোল্ডের উপর সত্যিকারের হিরে ব্যবহার করে তৈরি মাস্কগুলোর দাম ৪ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন: আগামী বছরের আগে দেশে আসছে না ভ্যাকসিন, সংসদীয় কমিটিকে জানিয়ে দিলেন সরকারি আধিকারিকেরাই

দোকানের মালিক একথাও জানান যে এই মাস্কগুলো সরকারের নির্দেশিকা অনুসারেই তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ রোখা যাবে। তবে এটাই প্রথম নয় ৷ পুণের শঙ্কর কারাডে নামের এক ব্যক্তি পুরো সোনা দিয়ে ২.৮৯ লক্ষ টাকার মাস্ক তৈরি করেছিলেন ৷

 

করোনাভাইরাসের জেরে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে জামা কাপড়ের সঙ্গে মাস্কও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ তাই বিভিন্ন ব্র্যান্ড জামা কাপড়ের সঙ্গে ম্যাচিং মাস্ক তৈরি শুরু করছে ৷ কলমকারি থেকে সিল্ক সমস্ত রকমের মাস্ক এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৷ তাই এবার পুজোয়া স্টাইল স্টেটমেন্ট হিসাবে মাস্ক বাজার কাঁপাতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। তাই নিজের কোনও প্রিয়জনের কাছ থেকে আবার আপনার কাছে পুজোয়া হিরে বসানো মাস্ত কিনে দেওয়ার আবদার আসতেই পারে কিন্তু। 

Share this article
click me!