অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দল ছাড়ার পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এনিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
আগে থেকে কোনও ইঙ্গিত ছিল না। আচমকাই কংগ্রেস ছাড়লেন দলের প্রাক্তন সাংসদ তথা মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী সুস্মিতা দেব। দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি লিখে নিজের পদত্যাগের কথা জানান তিনি। তবে কী কারণে তিনি দল ছাড়ছেন সেই বিষয়ে কিছু জানাননি। এদিকে অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দল ছাড়ার পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এনিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
সনিয়া গান্ধীকে লেখা সংক্ষিপ্ত চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, "তিন দশক ধরে কংগ্রেসে কাজ করতে পারার সুযোগ আমি উপভোগ করেছি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে সুযোগ দিয়ে সাহায্য করার জন্য এবং পথ দেখানোর জন্য। আমার পাশে থাকার জন্য সতীর্থ ও দলের নেতা-মন্ত্রীদের ধন্যবাদ।" এবার পুরোপুরিভাবে নিজেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে চান বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- কাবুলে তালিবানি রাজ, ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন একের পর এক আফগান নেতা
উল্লেখ্য, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সন্তোষ মোহন দেবের মেয়ে সুস্মিতা। ২০১৪ সালে শিলচরের সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। এই আসনটি তাঁর পরিবারের শক্ত গড় হিসেবেই পরিচিত। তবে সম্প্রতি দলের সঙ্গে তাঁর কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তাঁর দাবি, প্রার্থী নির্বাচন থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় নিয়ে তাঁর মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছিল না দল। সেই কারণেও তিনি দল ছাড়তে পারেন বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন- 'অটলজি আমাদের হৃদয়ে আছেন', বাজপেয়ীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির
আরও পড়ুন- জ্বলল পুলিশের গাড়ি, প্রতিবাদের আগুনে ম্লান স্বাধীনতা দিবস, শিলং-এ জারি কারফিউ
পাশাপাশি আরও একটি জল্পনা সামনে এসেছে। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। আসলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর এখন অন্য রাজ্য দখলের দিকে চোখ দিয়েছে তৃণমূল। আর ত্রিপুরার পর এখন অসমেও নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চাইছে তারা। ইতিমধ্যেই নির্দল বিধায়ক অখিল গগৈকে দলে নিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সুস্মিতার কংগ্রেস ছাড়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।