৮ই মার্চ ত্রিপুরায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান, উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী- জেনে নিন সফরসূচি

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোট ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং দোসরা মার্চ ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। ৮ মার্চ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।

Web Desk - ANB | Published : Mar 7, 2023 5:48 PM IST

২ মার্চ ঘোষণা হয়েছে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। ৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপি এ বার ৫৫টিতে লড়ে ৩২টি আসনে জিতেছে। সহযোগী আইপিএফটি ৬টিতে লড়ে জিতেছে মাত্র ১টিতে। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ ভোট। সঙ্গী আইপিএফটি এ বার ভোট পেয়েছে মাত্র ১.২ শতাংশ। তবে হেরে গিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের মতো প্রথম সারির নেতারা। বাম-কংগ্রেস জোট প্রায় ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৪টি আসনে জিতেছে। আর এক বিরোধী দল তিপ্রা মথা প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৩টি আসনে জিতেছে।

২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫১টি লড়ে ৩৬টিতে জিতেছিল বিজেপি। পেয়েছিল প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোট। তাদের সহযোগী জনজাতি দল আইপিএফটি ৯টিতে প্রার্থী দিয়ে ৮টিতেই জেতে। ভোট পেয়েছিল প্রায় ৭.৪ শতাংশ। অর্থাৎ, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ ভোট কমে গিয়েছে বিজেপি জোটের।

ফলাফল প্রকাশিত হয় দোসরা মার্চ

রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভোট ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং দোসরা মার্চ ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছিল। ৮ মার্চ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সাতই মার্চ মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার ত্রিপুরার আগরতলায় বিজেপি রাজ্য সরকারের শপথ অনুষ্ঠানেও দেখা যাবে তাঁকে।

বুধবার মোদীর সফরসূচি

নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় গুয়াহাটি বিমানবন্দরে আসেন এবং রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে আসাম মন্ত্রিপরিষদের সাথে সাক্ষাত করেন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে সাতটা নাগাদ। এরপর ৮ই মার্চ সকাল নটা চল্লিশ মিনিটে মোদী নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় উড়ে যাবেন। সেখান থেকে তিনি নয়াদিল্লিতে ফিরবেন।

ত্রিপুরায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর এক টুইট বার্তায় রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি লিখেছিলেন, "ধন্যবাদ ত্রিপুরা! রাজ্যের অগ্রগতি এবং স্থিতিশীলতার জন্য এই ভোট। বিজেপি রাজ্যের উন্নয়নের পথে প্রচার চালিয়ে যাবে। তৃণমূল পর্যায়ে তাদের চমৎকার প্রচেষ্টার জন্য আমি ত্রিপুরা বিজেপি কর্মীদের জন্য গর্বিত।"

Share this article
click me!