বসন্তের গোড়াতেই দেশজুড়ে তৈরি হয় উৎসবের মরশুম। প্রতি বছরের মত এবারেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উত্সবের আয়োজন করা হয়েছে আগ্রায়। একটানা ১০ দিন ধরে চলবে এই সাংস্কৃতিক উত্সব। আর এই উৎসবকেই বলা হয়ে থাকে তাজ মহোৎসব। আগামী ২০ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।
বসন্ত (Basanta) মানেই রঙের উৎসব। আর সেই সঙ্গে মনেও জাগে রঙিন স্বপ্ন। বসন্তের রঙিন আবহে প্রকৃতিতেও যেন হয় নতুন প্রাণের সঞ্চার। বসন্তের রঙিন ছোঁয়ার সঙ্গে যখন ভারতের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন (Cultural Festival) একেবারে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় তখন তাকে বলে তাজ মহোৎসব। প্রসঙ্গত, বসন্তের (Basant) গোড়াতেই দেশজুড়ে তৈরি হয় উৎসবের মরশুম। প্রতি বছরের মত এবারেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উত্সবের (Cultural Festival) আয়োজন করা হয়েছে আগ্রায়। একটানা ১০ দিন ধরে চলবে এই সাংস্কৃতিক উত্সব। আর এই উৎসবকেই বলা হয়ে থাকে তাজ মহোৎসব (Taj Utsav)। আগামী ২০ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। শীত শেষের প্রাক্কালেই বসন্তের উৎসবের আনন্দের ছোঁয়া তাজ উৎসবকে (Taj Utsav) ঘিরে।
ভারতের বিভিন্ন শিল্প, কারুশিল্প, সংস্কৃতিতে ভরপুর এই উৎসব বসন্তকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালের তাজ মহোৎসবের থিম হল আজাদি কে অমৃত মহোৎসব সাং, তাজ কে রং। কোথায় হবে এই উৎসব এবার সেটা তাহলে জেনে নেওয়া যাক। আগ্রার তাজমহল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে অবস্থিত শিল্পগ্রাম। এই গ্রামটি হস্তশিল্পের জন্যই বিশেষভাবে প্রসিদ্ধ। ২০২২ সালের তাজ মহোৎসব অনুষ্ঠিত হবে এই শিল্পগ্রামেই। যে কোনও উৎসব মানেই সেখানে একটি প্রবেশমূল্য দরকার (Ticket)। তাজ উৎসবও এর ব্যতিক্র নয়। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ পাবে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৪০ টাকা। বিদেশীরাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই উৎসবের আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পাবে।
আরও পড়ুন-প্রতি সকালে ৫২ সেকেন্ডের জন্য স্তব্ধ গোটা শহর, দেশপ্রেমের আশ্চর্য নজির তেলেঙ্গানার এই শহরে
আরও পড়ুন-গুরু গোবিন্দ সিংয়ের জন্মজয়ন্তীতে বড় ঘোষণা মোদীর, ২৬ ডিসেম্বর পালিত হবে 'Veer Baal Diwas'
আরও পড়ুন-Poush Mela: ওমিক্রন আতঙ্ক, এবারও হচ্ছে না পৌষ মেলা
তাজ মহোৎসব ক্রেতাদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি দর্শনীয় স্থান। অনন্য ঐতিহ্যবাহী গয়না থেকে শুরু করে জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী পোশাক, শিল্পকর্ম, বিভিন্ন রকমের নজরকারা মূর্তি, ল্যাম্প, ভিনটেজ এবং উদ্ভাবনী আসবাবপত্র সহ ভিন্নস্বাদের জিনিসের সমাহার দেখা যাবে তাজ উৎসবে। ক্রেতারা তাঁদের মত মতন ইউনিক জিনিসপত্র কেনার সুযোগ পাবে এখানে। তাই বলা যেতই পারে তাজ উৎসব ক্রেতাদের জন্য স্বর্গরাজ্যের চেয়ে কম কিছু নয়। এখন অপেক্ষা ২০ মার্চের। এই দিন থেকেই শুরু হবে উৎসবের আমেজ উপভোগ করার সঙ্গে জিনিসপত্র কেনার ধুম। উল্লেখ্য, এই তাজ উৎসবের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য স্থানীয় কারিগরদের প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। পুরাকীর্তি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র এখানে উল্লেখযোগ্যভাবে কম দামে পাওয়া যায়।
তাজ মহোৎসব শিশুদের জন্য আরও প্রাণবন্ত এবং আকর্ষণীয় কার্নিভালের আয়োজন করে থাকে। এই উৎসবে সকল বয়সের মানুষ এই উৎসবের রসদ চেটেপুটে উপভোগ করার সুযোগ পায়। তাজ মহোৎসব হল এমনই একটি উৎসব যেটি দর্শকদের ভিন্নস্বাদের দেশীয়, শাস্ত্রীয় এবং অন্যান্য শিল্প ঘরানার অভিজ্ঞতা অর্জনের রাস্তা খুলে দেয়। একইসঙ্গে এই উৎসব ভারতীয় শিল্পীদের অসাধারণ কাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের এক অনবদ্য প্রয়াসও বটে। ১৯৯২ সালে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন শিল্পীদের উদ্ভাবনী কাজকে উৎসাহিত করা। তাদের নানান দক্ষতা প্রদর্শনে সহায়তা করা। স্বনামধন্য দেশি ও আন্তর্জাতিক শিল্পীদের বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার সুবাদে এই মেলা ঐতিহ্য ও সভ্যতার মেলবন্ধন তৈরি হয়। ১৮ এবং১৯ শতকে উত্তরপ্রদেশে আধিপত্য বিস্তারকারী নবাবি শৈলীকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি পর্যটনকে অনুপ্রাণিত করার একটি লক্ষ্য তৈরিতেই এই তাজ মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।