তালিবানদের বিজয় রথ কি থামিয়ে দেবে পঞ্জশির, যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তালিবান বাহিনীর

তালিবানদের কাছে এখনও অধরা পঞ্জশির। উপত্যকা দখলে জোর লড়াই চলছে দুই পক্ষের মধ্যে। তালিবানদের হতাহতের সংখ্যা ৩৫০। 
 

Asianet News Bangla | Published : Sep 1, 2021 9:27 AM IST / Updated: Sep 01 2021, 03:17 PM IST

মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করেছে। কাবুল বিমান বন্দরেরও দখল নিয়ে তালিবানরা। তবে এখনও গোটা আফগানিস্তান তাদের হাতের মুঠোর মধ্যে আসেননি। মাথা উঁচু করে এখনও তালিবান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করেছে রেখেছে পঞ্জশির। শুধু তাই নয়। তালিবানদের অশ্বমেধ ঘোড়াও থামিয়ে রেখেছে ন্যাশানাল রেজিসস্টেন্স ফ্রন্টের সদস্যরা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও তালিবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আহমেদ মাসুদের বাহিনী। 

বিস্তীর্ণ পঞ্জশির উপত্যতার খাবাক এলাকায় তালিবানদের বিরুদ্ধে মাসুদ বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। একটি সূত্র বলথে তালিবানদের হতাহতের সংখ্যা প্রায় ৩৫০। মাসুদ বাহিনী আমেরিকার থেকে গোলা বারুদ পেয়েছে। তাই দিয়েই রুখে দিচ্ছে তালিবানদের। তবে পঞ্জশির নিয়ে এখনও সেভাবে মুখ খুলেনি তালিবানরা। তবে পঞ্জশিরে যে তারা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে তা জানিয়েছে। সূত্রের খবর সোমবারই পঞ্জশিরে যুদ্ধে ৮ তালিবান যোদ্ধা নিহত হয়েছিল। মাসুদ বাহিনীর মাত্র ২ জন সদস্য আহত হয়েছিল। 

গতবারও তালিবানরা পঞ্জশিরের দখল নিতে পারেনি। এবারও কী ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে? পঞ্জশিরের প্রতিরোধ সেই জল্পনাই উস্কে দিচ্ছে। যদিও আগে তালিবানরা জানিয়েছিল তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে প্রস্তুত। কিন্তু এখন সরাসরি সংঘর্ষে লিপ্ত তারা।আফগানিস্তানে আশরাফ ঘানি সরকারের পতনের পর অধিকাংশ আফগান সেনাই পঞ্জশিরে আশ্রয় নেয়। তারাই দেশের স্বাধীনতার এই লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে। অন্যদিকে পঞ্জশিরের স্থানীয় নেতা আহমেদ মাসুদ আগেই জানিয়েছিলেন তিনি তালিবানদের কাছে বশ্যতা স্বীকার করবেন না। বাবা শাহ আহমেদ মাসুদের মতই তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। আগেরবারে পঞ্জশিরকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তারা বাবা। 

সমকামী আন্দোলনকারীকে কুপিয়ে হত্যা, ৬ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ বাংলাদেশে

মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে সরকার গঠনে তৎপর তলিবানরা, কান্দাহারে ৩ দিনের লম্বা বৈঠক

টিকা কেন্দ্রে চরম বিশৃঙ্খলায় জখম ১৫, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশান বিজেপির

পঞ্জশিরকে বাগে আনতে আগেই উপত্যকার টেলিফোন আর ইন্টারনেট পরিষেবা ছিন্ন করে দিয়েছে তালিবানরা। তৈরি হয়েছে অবরোধ। যা স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এখনও তালিবানদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পঞ্জশির। স্থানীয় যোদ্ধাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আমরুল্লাহ সালেহ। তিনি পঞ্জশিরের লড়াইকে গোটা আফগানিস্তানের লড়াই বলে চিহ্নিত করেছেন। 

 

Share this article
click me!