সংক্ষিপ্ত
২০১৬ সালে সমকামী আন্দোলনকারী ও তাঁর বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড বাংলাদেশে। হত্যার দায় নিয়েছিল আনসার জঙ্গি গোষ্ঠী।
সমকামী আন্দোলনকারীকে হত্যার অভিযোগে ৬ মুসলিম সন্ত্রাসবাদীকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের রাজধানাী ঢাকার সন্ত্রাসদমন আদালত। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে হামলাকারীরা কিপুয়ে হত্যা করে ৩৫ বছরের জুলহাজ মান্নান ও তাঁর বন্ধু মাহবুব রাব্বি তনয়কে। বাড়িতে ঢুকে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়ে দুষ্কৃতীরা হত্যা করে দুজনকে।
বাংলাদেশের আইন বিরুদ্ধ হলেও জুলহাজ সমকামী ও রূপান্তরকামীদের জন্য রূপবান নামে একটি পত্রিকা চালাতেন। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যানাল ডেভলপমেন্টের জন্যও কাজ করতেন। নাস্তিক মধ্যমপন্থী মনোভাবাপন্ন ছিলেন তিনি। আওয়ামী লিগের নেতা দীপু মুনিরের আত্মীয় ছিলেন তিনি। বন্ধু তনয় ছিলেন একজন অভিনেতা।ঘটনার দিন ঢাকার একটি অ্যাপাটমেন্টে ছিলেন দুজনে। সেখানেই তাদের ওপর হামলা চালান হয়। হামলার কয়েক দিন পরেই গোটা ঘটনার দায় স্বীকার করে আল-কায়দার বাংলাদেশের শাখা আনসার আল ইসলাম।
'আত্মসর্পণ অথবা মৃত্যু', আফগান নাগরিকদের বাড়ির দরজায় পেরেকে আঁটা তালিবান চিরকূটে আতঙ্ক
Covid 19: করোনা টিকা প্রদানে রেকর্ড কেন্দ্রের, সব মাইলফলক পার করল মঙ্গলের টিকাকরণ
এদিনের মামলায় আট অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনকে সাজা দিলেও বাকি দুজনকে বেকুসিুর খালাস করে দেয় বাংলাদেশের সন্ত্রাস বিরোধী আদালত। দোষীদের মধ্যে একজন সেনা কর্মীও রয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী জানিয়েছেন তাঁরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন। তবে যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে চার জন আদালতে উপস্থিত ছিল। বাকি দুজন ঘটনার পর থেকেই ফেরার। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই এদিন রায় ঘোষণা করে ঢাকার বিশেষ আদালত।
তালিবানদের সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক ভারতের, দোহায় স্টানিকজাইয়ের সঙ্গে কথা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের
২০১৬ সালে বাংলাদেশে বিদেশী, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ধর্মনিরপেক্ষদের বেছে বেছে টার্গেট করা হত। সেই সময়ই মুক্তমনা ব্লগার তথা মার্কিন নারগিক অভিজিৎ রায়কেও প্রকাশ্যে হত্যা করে সন্ত্রাসবাদীরা। সেই সময় রীতিমত আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতার মর্যাদা বাজায় রাখতে পারবে কিনা। তবে মান্নান হত্যার জন্যা বাংলাদেশের জঙ্গি গোষ্ঠী জামাতুল মুজাহিদিন আর হরকালুত জিহাদকেও দায়ি করা হয়। যদিও হাসিনা সরকার কট্টারপন্থী ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে কয়েক জন জঙ্গিকে হত্যা করেছে। বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে। যার কারণে দেশে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে দাবি করে হাসিনা সরকার।