জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এনকাউন্টারে নিহত ২ জঙ্গি। একজনের কাছে ভারতের আসল পাসপোর্টও ছিল।
একের পর এক এনকাউন্টারের সাক্ষী রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরেরে বাসিন্দারা। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে গত সপ্তাহে ভূস্বর্গে এনকাউন্টের দুই সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়েছে। নিহত দুই সন্ত্রাসবাদীর মধ্যে একজনের বৈধ ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ২০১৮ সালে ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানেও গিয়েছিল। তবে এই বিষয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ।
শুক্রবার রাজৌরি জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লস্কর-ই-তৈবার সদস্যরা গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে। সেই সময় লস্করের দুই সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়। এনকাউন্টারের দায়িত্বে থাকা রাজৌরির পুলিশ সুপার শীমা নবী কাসবা জানিয়েছেন রামিস নামের ওই ব্যক্তি ফিরে এসেছে বলে তাদের কাছে কোনও খবর নেই। তাই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এক নিহত জঙ্গি রামিসের নাম নিয়ে ভারতেই বৈধ পাসপোর্ট তৈরি করেছিল। তারপর সে বৈধভাবে পাকিস্তানের চলে যায়। কিন্তু তার আবার ভারতে ফিরে আসার কোনও রেকর্ড প্রশাসনের কাছে নেই। তাই পুলিশের অনুমান জঙ্গি কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য অবৈধভাবে পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছিল।
বিবাহিত মহিলাকে প্রেমপত্র ছুঁড়ে দেবেন না, রায় দিতে গিয়ে কেন এমন বলল বোম্বে হাইকোর্ট
গর্বের স্বাধীনতা, ১৫ অগাস্টের আগেই পাকিস্তানে গা ঘেঁসে উড়েছে ১০০ ফুট লম্বা ভারতের তেরঙ্গা
করোনাভাইরাসের সঙ্গে ঘর কর হতে পারে আগামী দিনে, চিনের 'বাদুড় মহিলা' ঝেংলির নতুন নিদান
পিনগাই গ্রামে একদল জঙ্গি ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে গত ৬ আগাস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ পানগাই গ্রামে তল্লাশি চালায়।সেই অভিযানেই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। যদিও যৌথবাহিনীর সামনে জঙ্গিরা সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। সেখানেই দুই সন্ত্রাসবাদী নিহত হয়। উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। দুটি একে ৪৭ রাইফেল, ৯টি ম্যাগাডিন, ২২ রাউন্ড গুলি ও চারটি হ্যান্ড গ্রেনেড। এছাড়াও জঙ্গিদের সঙ্গেছিল প্রচুর গোলাবারুদ আর একাধিক সরঞ্জাম। ছিল প্রচুর পরিমাণে ওষুধও। থানামান্দি থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।