রাজস্থানের এই শহরে পায়রারা কোটিপতি - দোকান, গোশালা, জমি কী নেই, ব্যাঙ্কে জমা ৩০ লক্ষ টাকা

রাজস্থানের কোটি-কোটি টাকার মালিক এমন অনেক শিল্পপতিদের কথাই শোনা যায়। কিন্তু, এখানকার এক শহরে পায়রারাও কয়েক কোটি টাকার মালিক, সে খবর জানেন? 
 

Asianet News Bangla | Published : Aug 10, 2021 12:43 PM IST

মানুষ ও প্রকৃতির এ এক আশ্চর্য সহাবস্থান। রাজস্থানে এমন অনেক শিল্পপতিই আছেন যারা কোটি-কোটিপতি। কিন্তু, এই রাজস্থানেই এমন এক শহর রয়েছে, যেখানে পায়রারাও কয়েক কোটি টাকার মালিক। কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তাদের নামে রয়েছে বেশ কয়েকটি দোকান, বেশ কয়েক বিঘা জমি এবং নগদ আমানতও। 

রাজস্থানের নাগুর জেলার ছোট শহর জসনগর। এই শহরে পায়রাদের ডাকা হয়  'কোটিপতি কবুতর' বলে। কারণ এই শহরে তাদের নামে রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি। পায়রাদের নামে রয়েছে ২৭টি দোকান। সেইসঙ্গে রয়েছে ১২ বিঘা জমি। যার মধ্যে ১০ বিঘা জমিতে ৪০০টিরও বেশি গোশালা চলে। সেগুলির মালিকও পায়রাগুলি। আর ব্যাঙ্কে নগদ জমা আছে  ৩০ লক্ষ টাকা ।

"

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পায়রাদের এই সম্পত্তি প্রাপ্তি ঘটেছিল প্রায় চার দশক আগে। সৃজনরাজ জৈন নামে , একজন নতুন শিল্পপতি 'কবুতরঁ ট্রাস্ট' (হিন্দু ভাষায় কবুতর মানে পায়রা, অর্থাৎ পায়রাদের ট্রাস্ট) নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপন করেছিলেন। তাঁর অনুপ্রেরণা ছিলেন জসনগরের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান রামদিন ছোটিয়া এবং তাঁর গুরু মারুধর কেশরী। তাঁরা ওই অঞ্চলের সকলকে অবোলা পাখিদের জন্য খাবার ও জলের ব্যবস্থা করার বিষয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন। 

আরও পড়ুন - Afghanistan - বিশেষ বিমানে দেশ ছাড়ছেন ভারতীয়দের, শহর ঘিরে তীব্র হামলা চালাল তালিবান

আরও পড়ুন - গলায় ক্যারাটের বেল্ট পেঁচিয়ে মা'কে হত্যা করল কিশোরী, চাঞ্চল্যকর ঘটনায় উঠছে গুরুতর প্রশ্ন

আরও পড়ুন - জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক, কতটাই বা কার্যকর এই ভ্য়াকসিন - জেনে নিন

'কবুতরঁ ট্রাস্ট' প্রকল্পটি চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকার সকলে খোলা মনে দান করেছিল। পায়রাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি যাতে তারা নিয়মিত খাদ্যশস্য এবং জল পায়, তা নিশ্চিত করার জন্য ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে শহরে প্রায় ২৭টি দোকান তৈরি করা হয়েছিল। সেই দোকানগুলি থেকে প্রতি মাসে ৮০,০০০ টাকা ভাড়া আদায় হয়। এছাড়াও, ট্রাস্টের জমি ভাড়া দেওয়া হয়, যা থেকে এই ট্রাস্টের নিয়মিত আয় হয়। আর এই সমস্ত আয় জমা হয় ব্যাঙ্কে। বছরের পর বছর ধরে একটু একটু করে বেড়ে যার পরিমাণ এখন ৩০ লক্ষ টাকারও বেশি। এই উপার্জন থেকে ট্রাস্ট গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিদিন পায়রাদের তিন বস্তা করে খাদ্যশস্য দেয়। 

Share this article
click me!