
আবারও বিপর্যয় উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিখোঁজ অন্তত সাত জন। নন্দনগর ঘাট এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টির হয়। এর জেরে শহরের কুন্ট্রি লাঙ্গাফালি ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি বাড়ি ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে। নন্দননগর ঘাট অলকানন্দা নদীর একেবারে কাছে অবস্থিত। গত কয়েক দিনের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মাঝে ফের ঘটল বিপর্যয়।
প্রাথমিত তথ্য অনুসার, ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন। অন্তত ১২টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র কুন্ট্রি লাঙ্গাফালি ওয়ার্ডে ৬টি বাড়ি ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনায়, অন্তত ৮ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর মিলেছে। এরই মধ্যে ২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের খোঁজে চলছে অভিযান। অনেক জায়গায় বাড়ি ঘরের বিন্দুমাত্র চিহ্নও নেই বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে রিপোর্ট বলছে, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নন্দানগর তহসিলের ধুরমা গ্রামেই ৪-৫টি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই সঙ্গে মোক্ষ নদীর জল হঠাৎ বেড়ে যাওয়া আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সন্দীপ তিওয়ারি বলেছেন, এখনও পর্যন্ত ১০-১২টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়টি দোকানও। তিনি আরও বলেন, আমরা জেসিবির সহায়তায় রাস্তা খোলার চেষ্টা করছি। আশা করা হচ্ছে যে ত্রাণ দলগুলো আগামী ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে পৌঁছাবে। ত্রাণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে এবং লোকজনকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করা হবে।
এবছর বর্ষায় একাধিকবার রোষে পড়েচে চামোলি। রাজ্যের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। একাধিক মেঘভাঙা বৃষ্টি, হড়পা বানের কারণে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চামোলির পাশাপাশি এই মরশুমে ভারী বৃষ্টি, মেঘভাঙা বৃষ্টি, ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তরকাশী, রুদ্রপ্রয়াগ, পৌড়ী, বাগেশ্বর ও নৈনিতাল। এবার ফের খবরে চামোলি। সেখানে ভেসে গেল বহু বাড়ি। নিখোঁজ পার্য় ৭ দম