মেঘালয় পুলিশের জেরায় আরও একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তালাং জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টায় তিনি একা নন, জড়িয়ে ছিলেন আরও তিন জন। এই তিনজনের মধ্যে এক মহিলাও ছিলেন। চারজন মিলে ওই ট্যাক্সিচালককে খুন করেন।
মেঘালয়ের ট্যাক্সি ড্রাইভার খুনে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ওই রাজ্যের পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম ' I Love Talang'। পুলিশি জেরায় বছর ২৫-এর তালাং জানিয়েছেন, তিনিই নিখোঁজ ট্যাক্সি ড্রাইভার দামেহিপাইয়া পাপেংকে খুন করেছিলেন। প্রসঙ্গত,নিহত ওই ট্যাক্সিচালক পাপেং অগাস্টের ১০ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
পুলিশি জেরায় আরও বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। পুলিশকে মূল অভিযুক্ত তালাং জানিয়েছেন, ট্যাক্সিচালক পাপেংকে খুন করার পর তাঁর মৃতদেহ মুখোই মিম্যানটডুর গবাদি পশুর বাজারে পুঁতে দিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই বাজার জোয়াই বাইপাস থেকে খুব দূরে নয়। এই জোয়াই বাইপাসেই খুন হয়েছিলেন ট্যাক্সিচালক পাপেং।
এখানেই শেষ নয়, মেঘালয় পুলিশের জেরায় আরও একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তালাং জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টায় তিনি একা নন, জড়িয়ে ছিলেন আরও তিন জন। এই তিনজনের মধ্যে এক মহিলাও ছিলেন। চারজন মিলে ওই ট্যাক্সিচালককে খুন করেন।
পাপেং খুনের এই ঘটনা থেকে বেশ কিছু অন্য সূত্রও পেয়েছে পুলিশ। চলতি বছরেরর এপ্রিল মাসে ফুলমুন খারসানহা বলে এক ব্যক্তির দেহ পাওয়া যায়, গুরুগ্রামের বজঘেরা এলাকার দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে জনশূন্য একটি জায়গায়। নিহত ব্যক্তি ফুলমুনও ছিলেন, পেশায় টুরিস্ট ট্যাক্সিচালক। পুলিশ পরে এই ঘটনায়, দুইজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনার মাস পাঁচেকের মধ্যেই নয়া এই খুনে পুলিশের হাতে গ্রেফতার তালাং। পুলিশের সন্দেহ, পাপেংয়ের পাশাপাশি, তালাং ফুলমুনের খুনের ঘটনার সঙ্গেও জড়িত। গোটা বিষয়টি তারা অনুসন্ধান করবে।
আরও পড়ুন - সুচ ফুটিয়ে শিশুকন্যা খুনের মামলায় ফাঁসি নয় দোষীদের, হাই কোর্টে রদ মৃত্যুদণ্ডের সাজা
কয়েক মাসের মধ্যে পর দুটি খুন। দুজনেই পেশায় ট্যাক্সিচালক। এই দুই খুনের মধ্যে কি কোনও যোগসূত্র রয়েছে নাকি ঘটনা নিছকই কাকতালীয় সে বিষয়ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মেঘালয় ট্যাক্সিচালক পাপেং খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - এমসি ঘোষ লেনে মা, দাদা, বৌদি, ভাইজিকে কুপিয়ে খুন! ৮ দিন পর পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত