ইডি-র ক্ষমতাবৃদ্ধি সম্পর্কে মোদী সরকারের মতামত কী? নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট

Published : Aug 25, 2022, 04:45 PM IST
ইডি-র ক্ষমতাবৃদ্ধি সম্পর্কে মোদী সরকারের মতামত কী? নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট

সংক্ষিপ্ত

পুনর্বিবেচনার দুটি বিশেষ দিক ছিল, অভিযুক্তকে মামলা সংক্রান্ত তথ্যের কপি দেওয়ার প্রয়োজন নেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। দ্বিতীয় নির্দেশ, অভিযুক্তকেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। ইডি অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করার দায়িত্ব নেবে না।

কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানিতে আপত্তি করল না সুপ্রিম কোর্ট। ইডি ডিরেক্টরের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং ইডি-কে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। সেই মামলা গৃহীত হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের মতামত জানতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

কেন্দ্রের নতুন আইনের স্বপক্ষে থেকেই গ্রেফতারি, তল্লাশি, সমন পাঠানো, নগদ সম্পত্তি আটকের মতো ইডির যাবতীয় ক্ষমতা আপাতত বহাল রাখার কথা বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে, অভিযুক্তকে তার গ্রেফতারির কারণ জানাতে হবে বলে গত ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা বৃহস্পতিবারও বহাল রেখেছে প্রধান বিচারপতি এনভি রমণার বেঞ্চ। সেখানে জানানো হয়, অভিযুক্তকে মামলা সংক্রান্ত তথ্যের কপি দেওয়ার প্রয়োজন নেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। দ্বিতীয় নির্দেশে বলা হয় যে, অভিযুক্তকেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে। ইডি অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণ করার দায়িত্ব নেবে না।

ইডি সম্পর্কে বিরোধী পক্ষের অভিযোগ ছিল, ইডি-কে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজে লাগাতে তার হাতে লাগামহীন ক্ষমতা তুলে দিয়েছে মোদী সরকার। ইডির ক্ষমতার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে প্রায় আড়াইশো মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু, গত ২৭ জুলাই কেন্দ্রকে স্বস্তি দিয়ে বিচারপতি এ এম খানউইলকরের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, আর্থিক কেলেঙ্কারি প্রতিরোধী আইনে (পিএমএলএ) ইডি-কে যে ক্ষমতাগুলি দেওয়া হয়েছে, সেগুলি একেবারেই সংবিধান বিরোধী নয়। দেশে আর্থিক দুর্নীতি আটকাতে কড়া আইনেরই প্রয়োজন। সেই রায় পুনর্বিচনার আবেদন জানিয়ে কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরম যে আবেদন জানিয়েছিলেন বুধবার তা শুনতে রাজি হয়েছিল প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ

প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা বলেন, "আমাদের মনে হয়েছে প্রাথমিকভাবে দুটো দিক নিয়েই বিবেচনা করা দরকার।" দুটি বিষয় নিয়ে বিবেচনার কথা থাকলেও আর্থিক তছরুপ আইনের পুরো বিষয়টি নিয়েই পুনর্বেবিচনা করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আজ তারই বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর মতে, দুটো বিষয় নিয়েই নোটিস পাঠানো উচিত ছিল। যদিও আর্থিক তছরুপ আইনের পুরো বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান মামলাকারীদের আইনজীবী কপিল সিবাল। শুনানিতে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সিটি রবি কুমার বলেন, "শুনানি বিস্তারিত করার কোনও প্রয়োজন নেই। কালো টাকা রোধ করার উদ্যোগকে আমরা সমর্থন জানাই।"

আরও পড়ুন-
বেনামি লেনদেন করলে আর থাকছে না জেল হওয়ার সম্ভাবনা, ‘অযৌক্তিক’ বলে দিল সুপ্রিম কোর্ট
মন্ত্রিত্বের পর এবার মাইনেতেও কাটছাঁট, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেতনও কমাল রাজ্য
কোন দেশে ধর্ষকদের বরণ করে এত মাতামাতি হয়! ১১ ধর্ষকের মুক্তির পর বিস্মিত বিলকিস বানোর স্বামী

PREV
click me!

Recommended Stories

'হিন্দু রেট অফ গ্রোথ'! ভারতের ডিজিপি বাড়তেই হিন্দুদের অপমান নিয়ে সরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশনে পেনশন ও ডিএ নিয়ে নতুন মোড়! এক কোটি পরিবারকে স্বস্তি দিয়ে সরকার দিল বড় আপডেট