সংক্ষিপ্ত
২০১৭ সালে পুরুলিয়ায় ঘটা নজির বিহীন এই নৃশংসতার ঘটনা চমকে উঠেছিল সমাজ। তার চেয়েও ভয়াবহ ছিল ওই শিশুর উপর অত্যাচারের বিবরণ। হাসপাতালের এক্সরেতে দেখা গিয়েছিল সাড়ে তিন বছরের শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মোট সাতটি সুচ ফুটে রয়েছে।
পুরুলিয়ার সুচ ফুটিয়ে শিশু হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ড নয় বরং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনাম কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৭ সালের এই নৃশংস ঘটনার রায় ঘোষণা হল আজ। দোষীদের অর্থাৎ শিশুটির মা ও স্থানীয় স্থানীয় ওই ওঝাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে হাই কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ৩০ বছর পর্যন্ত জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন না দোষীরা।
২০১৭ সালে পুরুলিয়ায় ঘটা নজির বিহীন এই নৃশংসতার ঘটনা চমকে উঠেছিল সমাজ। তার চেয়েও ভয়াবহ ছিল ওই শিশুর উপর অত্যাচারের বিবরণ। হাসপাতালের এক্সরেতে দেখা গিয়েছিল সাড়ে তিন বছরের শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে মোট সাতটি সুচ ফুটে রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। হাসপাতেলে ভর্তির ন'দিনের মাথায় মৃত্যু হয় শিশুটির। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে আরও জানা যায় যে শিশুটির পাঁজর, তলপেট এমনকী যৌনাঙ্গেও সুচ ফোটানো হয়েছিল। সাড়ে তিন বছরের শিশুর উপর এই পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছিল শিশুটির মা ও স্থানীয় এক ওঝা। শিশু মৃত্যুর পর খুনের অভিযোগে রেফতার করা হয় দুই মূল অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন - ভগবানপুরের ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু, কাঁথি হাসপাতালে থেকে উদ্ধার হল দেহ
নিহত শিশুর মা মঙ্গলা গোস্বামী এবং ওঝা সনাতন গোস্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যু দণ্ডের সাজা দেয় পুরুলিয়া জেলা আদালত। জেলা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানান দোষীরা। বৃহস্পতিবার এই বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দে-র ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। তাঁরাই মঙ্গলা গোস্বামী ও সনাতন গোস্বামীর ফাঁসির সাজা রদ করেন এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পাশাপাশি আগামী ৩০ বছর দোষীরা জামিনের আবেদন করতে পারবেনা বলেও জানায় আদালত।
আরও পড়ুন - এমসি ঘোষ লেনে মা, দাদা, বৌদি, ভাইজিকে কুপিয়ে খুন! ৮ দিন পর পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত