ছেলেধরা সন্দেহে তাঁকে গণপিটুনি দিয়েছিল জনগণ। পাটনার পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার। পুলিশ তদন্ত করে জানায় গণপ্রহারে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশ ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেয়। পরিবারের সদস্যরা তাঁর শেষকৃত্যও করেন। গত তিনমাস ধরে তাঁর স্ত্রী বিধবার জীবন যাপন করছিলেন। কিন্তু গত একসপ্তাহ আগেই ফিরে আসেন সেই ব্যক্তি। কিন্তু কী করে
কৃষ্ণ মানঝির স্ত্রী রুবি মানঝি জানান, 'যখন আমাকে আমার স্বামীর মৃতদেহ দেখানো হয়, আমি তাঁকে চিনতে পারিনি। তবে প্রতিবেশী ও পাড়ার সবাই বলেন, এটাই আমার স্বামী। কারণ একই ধরনের পোশাক পরেছিলেন ওই ব্যক্তি। আমরা সৎকার করি। কিন্তু এক সপ্তাহ আগে আমার স্বামী ফিরে আসে। তখন বুঝতে পারি ওই মৃতদেহ আমার স্বামীর ছিল না। আমরা খুব খুশি হয়েছি। মনে হচ্ছে জীবনটা নতুন করে শুরু করতে পারব।'
অনেক দিন ধরেই কৃষ্ণ মানঝি নিখোঁজ ছিলেন। স্থানীয় রানি তালাব থানায় তাঁরা নিখোঁজের ডাইরি করেন। এরপরেই থানা থেকে ডেকে পাঠানো হয় কৃষ্ণ মানঝির পরিবারের সদস্যদের। একটা মৃতদেহ শনাক্তকরণের জন্য দেখানো হয়। জানানো হয়, ছেলেধরা সন্দেহে বিহারের মহাত্মাপুর গ্রামে একদল জনতা এই ব্যক্তিকে গণপ্রহার দিয়েছে। যার জেরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মুখ দেখে ওই মৃতদেহ চেনার কোনও উপায় ছিল না। পোশাক দেখেই পরিবারের সদস্যরা ওই মৃতদেহকে কৃষ্ণ মানঝির বলে শনাক্ত করেন পাটনার সিনিয়র সুপারিটেনডেন্ট অফ পুলিশ গরিমা মালিক জানান। তিনি মন্তব্য করেছেন, ওই মৃতদেহ কার ছিল, সেদিন গনপিটুনিতে কার মৃত্যু হয়েছে, সেই বিষয়ে আমরা নতুন করে তদন্ত শুরু করব।