৩২ বছর বয়সী নির্যাতিতা জালোরের চিতলওয়ানা তহসিলের বাসিন্দা। অভিযোগে তিনি জানান, তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ভক্তিমূলক সেবায় জড়িত। তার স্বামী তাকে ২০২১ সালে মানব সেবা বিশ্ব গুরু দত্তাত্রেয় আশ্রমে নিয়ে এসেছিলেন। সাঁচোরের আরভা জানাইপুরা গ্রামে এই আশ্রম। এখানে তিনি সাধ্বী হেমলতা এবং তার সহকর্মী তাগারামের সাথে দেখা করেন।
মানব সেবা বিশ্ব গুরু দত্তাত্রেয় আশ্রমের সাধ্বী হেমলতার সহযোগী তাগারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। ডাকযোগে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে এ অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা। ২৭শে জুলাই পুলিশ চিঠি পায় এবং ২৮ জুলাই রাত ১০টার দিকে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, তাগারাম ধর্ষণ করে এবং তার ভিডিও করেছিলেন সাধ্বী হেমলতা। তিনি চিৎকার শুরু করলে সাধ্বী তার মুখে একটি কাপড় আটকে দেন। ঘটনাটি রাজস্থানের জালোরের সাঁচোর এলাকার।
স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অন্ধবিশ্বাসের ফল
সানচোরের সারওয়ানা থানার ইনচার্জ কিষনরাম বিষ্ণোই জানিয়েছেন যে ৩২ বছর বয়সী নির্যাতিতা জালোরের চিতলওয়ানা তহসিলের বাসিন্দা। অভিযোগে তিনি জানান, তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ভক্তিমূলক সেবায় জড়িত। তার স্বামী তাকে ২০২১ সালে মানব সেবা বিশ্ব গুরু দত্তাত্রেয় আশ্রমে নিয়ে এসেছিলেন। সাঁচোরের আরভা জানাইপুরা গ্রামে এই আশ্রম। এখানে তিনি সাধ্বী হেমলতা এবং তার সহকর্মী তাগারামের সাথে দেখা করেন।
ফেব্রুয়ারি মাসে, সাধ্বী তাকে ইনস্টিটিউটের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড রুমে নিয়ে যান, যেখানে প্রধান পুরোহিত তাগারাম তাকে সাধ্বীর সামনে ধর্ষণ করেন এবং একটি ভিডিও করেন। এখন ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে এবং লাখ লাখ টাকা দাবি করছে প্রধান পুরোহিত ও সাধ্বী। রীতিমত ওই মহিলা তার পরিবারকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে টাকা চেয়ে।
সাধ্বী হেমলতা, মহিলাটির কল্পপক্ষের দোষ রয়েছে বলে বুঝিয়ে বলেছিলেন যে তাগারাম এই দোষের প্রতিকার করতে পারবে। তাগারাম বলেন যে কাল দোষ দূর করতে ১০৮ দিনে ২১ বার শারীরিক সম্পর্ক করতে হয়। এতে ওই মহিলার কল্পপক্ষের দোষ তাগারামের ওপর চলে আসে। অভিযোগ, এই 'চিকিৎসার' জন্য মহিলা প্রস্তুত ছিলেন না, তাকে রীতিমত জবরদস্তি করা হয়। অন্যদিকে সাঁচোরের ডিওয়াইএসপি রূপ সিং ইন্দা জানিয়েছেন, নির্যাতিতার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রে খবর ২০২২ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারী তারিখে, তাগারাম এবং হেমলতা মহিলাকে আশ্রমে ডাকেন। রাত ৮টায় সাধ্বী তাকে আন্ডারগ্রাউন্ড রুমে নিয়ে যান। আগে থেকেই সেখানে থাকা তাগারাম তাকে ধর্ষণ করে। মহিলা চিৎকার করলে সাধ্বী হেমলতা মুখে কাপড় ঢুকিয়ে দেন। সাধ্বী ধর্ষণের ভিডিও করেছেন বলে অভিযোগ। সেই সাথে কাউকে কিছু বললে ভিডিওটি ভাইরাল করে তার মানহানি ও ইনস্টিটিউটে জীবন পুঁতে ফেলার হুমকি দেয়। বর্তমানে পুলিশ মামলা দায়েরের পর তদন্ত করছে।