স্কুলের নাম থেকে উর্দু শব্দ মুছে ফেলার নির্দেশ, শুক্রবারের পরিবর্তে ছুটি থাকবে রবিবার

এসব বিদ্যালয়ে রবিবার ছুটির নির্দেশও জারি করা হয়েছে। রবিবার মিড-ডে মিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর সারাদেশে তোলপাড় হয়েছিল। মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ যে ঝাড়খণ্ডের অনেক স্কুলে রবিবারের পরিবর্তে শুক্রবার ছুটি।

Parna Sengupta | Published : Aug 2, 2022 7:11 AM IST / Updated: Aug 02 2022, 12:44 PM IST

একাধিক স্কুলের নামের মধ্যে রয়েছে উর্দু শব্দ। এখানেই শেষ নয়, এই স্কুলগুলিতে রবিবার নয়, সাপ্তাহিক ছুটি দেওয়া হয় শুক্রবার। পড়ানো হয় নমাজ। এবার এই স্কুলগুলি নিয়ে নড়েচড়ে বসল ঝাড়খণ্ড সরকার। রাজ্য সরকার জানিয়েছে রাজ্যের অন্যান্য সাধারণ স্কুলের মতই নিয়ম পালন করতে হবে এই স্কুলগুলিতে। সেই নির্দেশ অমান্য করা যাবে না। রবিবার কোনও মিড ডে মিল তৈরি করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে  সাধারণ স্কুলের নামের সামনে থেকে উর্দু শব্দ সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঝাড়খন্ড সরকার। 

পাশাপাশি এসব বিদ্যালয়ে রবিবার ছুটির নির্দেশও জারি করা হয়েছে। রবিবার মিড-ডে মিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর সারাদেশে তোলপাড় হয়েছিল। মিডিয়া রিপোর্টে প্রকাশ যে ঝাড়খণ্ডের অনেক স্কুলে রবিবারের পরিবর্তে শুক্রবার ছুটি। এই নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই স্কুলগুলিতে প্রার্থনারও পরিবর্তন করা হয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর একটি আদেশ জারি করে কিছু স্কুলের নাম থেকে উর্দু শব্দটি সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অধিদপ্তর থেকে জারি করা চিঠিতে বলা হয়েছে যে উর্দু স্কুল হিসাবে স্বীকৃত নয় এমন স্কুলগুলির নাম থেকে উর্দু শব্দটি বাদ দেওয়া হবে। এছাড়াও, এই স্কুলগুলিতে, শুধুমাত্র রবিবার ছুটি থাকবে। ঝাড়খণ্ডে এমন অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে রবিবারের পরিবর্তে শুক্রবার ছুটি থাকে। নির্দেশ অনুযায়ী নমাজ আদায়ের নির্দেশও জারি করেছে অধিদপ্তর। ঝাড়খণ্ডের অনেক স্কুলে প্রার্থনা পরিবর্তনের কথাও উঠেছে। 

ঝাড়খণ্ড শিক্ষা অধিদপ্তরের সচিব রাজেশ কুমার শর্মা তার আদেশে বলেছেন যে কোনও পরিস্থিতিতেই রবিবার অ-বিজ্ঞাপিত উর্দু স্কুলগুলিতে কোনও ধরণের শিক্ষামূলক কার্যকলাপ করা উচিত নয়। এছাড়াও, পূর্বের মতই এই বিদ্যালয়গুলিতে প্রার্থনা পরিচালনা করা উচিত। তার আদেশে তিনি আরও বলেছেন যে এই নিয়মগুলি যারা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে সামাজিক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করার অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশ্ন উঠেছিল সাধারণ স্কুল হয়েও কেন এই স্কুলগুলিতে এই ধরণের নিয়ম জারি থাকবে। সেখানেই বিতর্ক উঠেছিল। বিতর্কের জেরে টনক নড়ে রাজ্য শিক্ষা দফতরের। জারি করা হয় একাধিক নির্দেশিকা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যদি তা পালন না করা হয় তবে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। 

Share this article
click me!