চুরি করে মুদি দোকান সাফ করে দিয়েছিল সে। তার পরে ভালয় ভালয় একমাস কেটেও গিয়েছিল। অনেক খোঁজাখুজির পরে পুলিশও প্রায় হাল ছেডে় দিয়েছিল। কিন্তু সব ভাল হলেও শেষটা ভাল হল না চোর বাবাজীবনের। কারণ চুরি করতে এসে তাড়াহুড়োয় দোকানের মধ্যেই আধার কার্ড ফেলে গিয়েছিল সেই চোর। চোরের নামধাম সমেত সেই আধার হাতে পেয়ে তাকে পাকড়াও করতে বিশেষ সময় নেয়নি পুলিশ।
আরও পড়ুন- অসমে বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার্থে গাড়ি চালানো নিয়ে সতর্কবার্তা দিলেন রোহিত শর্মা
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের দেহরাদুনে। অভিযোগ, জুন মাসে অনিল শেঠি নামে এক ব্যক্তির মুদি দোকানে চুরি হয়। দোকানে টিনের চাল ভেঙে রাতের বেলা ভিতরে ঢোকে চোর। দোকানের প্রায় সব জিনিসই খোয়া গিয়েছিল। ঘটনার পর পরই পুলিশে অভিযোগ জানান ওই ব্যবসায়ী।
তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানান, দোকানে লাগানো সিসিটিভি-তে চোরের ছবিও ধরা পড়েছিল। কিন্তু তা এতই অস্পষ্ট যে ঠিকমতো তাকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এর পর প্রায় একমাস পেরিয়ে যাওয়ার পরে তদন্তেও ঢিলে পড়েছিল।
কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরে যায় বুধবার। ওই ব্যবসায়ী তাঁর দোকানের চাল পরিষ্কার করতে যান। তখনই সেখানে একটি মানি পার্স পান তিনি। তার মধ্যে ছিল নীরজ নামে এক যুবকের আধার কার্ড। ব্যবসায়ীর বুঝতে অসুবিধে হয়নি যে এই যুবকই তাঁর দোকানে ফাঁকা করে দেওয়া চোর।
আরও পড়ুন- বিশ্বকাপ দেখতে এসে 'চোর হ্যায়' শুনতে হল বিজয় মালিয়া-কে
সঙ্গে সঙ্গে ওই আধার কার্ড পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই ব্যবসায়ী। আধার কার্ডে দেওয়া ঠিকানায় হানা দিয়ে অভিযুক্ত নীরজকে না পেলেও তার বর্তমান ঠিকানার হদিশ পেয়ে যায় পুলিশ। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শহরের একটি বস্তি থেকে নীরজকে গ্রেফতার করা হয়।
জেরা নীরদ স্বীকার করে, ওই দোকান ছাড়াও সম্প্রতি আরও একটি চুরি করেছে সে। অতীত রেকর্ড ঘেঁটে পুলিশ জানতে পারে, ২০১২ সালে মোট ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল নীরজ। পুলিশের কথা অনুযায়ী, বছরখানেক আগে নীরজের বাবা- মা দু' জনেই মারা যান। তার পর থেকেই কাজকর্মে মন না দিয়ে চুরিতেই হাত পাকায় সে।