ইন্ডিয়া জোটের পরবর্তী বৈঠক মুম্বইতে হচ্ছে। শনিবার মুম্বইতে মহা বাকাশ আগাড়ি-র একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে কংগ্রেস ও শিবসেনার উদ্ধবপন্থী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হবে ৩১ অগাস্ট ও ১ সেপ্টেম্ব। মুম্বইতে হবে এই বৈঠক। কংগ্রেস ও শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরে শিবির যৌথভাবে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই ঘোষণায় ছিল না শরদ পাওয়ারের এনসিপি। তাহলে কি ইন্ডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-এর হাত ধরছেন শারদ পাওয়ারও- সেই প্রশ্ন আবারও উঠতে শুরু করেছে। কারণ সম্প্রতি শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার বিজেপির হাত ধরে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন।
যাইহোক ইন্ডিয়া জোটের পরবর্তী বৈঠক মুম্বইতে হচ্ছে। শনিবার মুম্বইতে মহা বাকাশ আগাড়ি-র একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানে কংগ্রেস ও শিবসেনার উদ্ধবপন্থী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকের পরই সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, 'গ্রান্ড হায়াতে অনুষ্ঠিত হবে ইন্ডিয়ার তৃতীয় বৈঠক । ৩১ অগাস্ট থেকে পয়লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই দিনের বৈঠকে কমপক্ষে দেশের পাঁচজন মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবে।' উদ্ধব আরও জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন রাহুল গান্ধী। তিনি ৩১ অগাস্ট রাতেই মুম্বই আসছেন। এইদিনই সভা শুরু হবে। সন্ধ্যায় একটি নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে। এই নৈশভোজের আয়োজন করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
ইন্ডিয়া জোটের প্রথম বৈঠক হয়েছিল নীতিশ কুমারের উদ্যোগে গত ২৩ জুন পাটনায়। দ্বিতীয় বৈঠক হয়েছিল ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে। সেখানে ২৬টি দল যোগ দিয়েছিল। এই বৈঠকেই কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন পরবর্তী বৈঠক হবে মুম্বইতে। সেখানেই কমিটির ১১ সদস্য আহ্বায়কের নাম ঘোষণা করবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল এই প্রথম জোটের বৈঠক এমন একটি রাজ্যে হচ্ছে যেখানে জোটের কোনও দলই ক্ষমতায় নেই। মুম্বইতে বিজেপি ও উদ্ধবের বিরুধোপন্থীদের সরকার। জোটের বৈঠকে শরদ পাওয়া বা তাঁর কোনও প্রতিনিধি যোগ দেবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
বিরোধী জোটের সদস্যগুলির কাছ থেকে ইতিমধ্যেই নূন্যতন কমন মিনিমান প্রোগ্রাম চাওয়া হয়েছে। দেশের উন্নয়ন আর অগ্রগতিতে মাথায় রেখেই কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে বলেও বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। অন্যদিকে ঘৃণা বিভাজন, আর্থিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই হবে গুরুত্বপূর্ণ। স্বৈরাচার ও গণবিরোধী রাজনীতির মুক্ত হবে নতুন ভারত। এই আদর্শ নিয়ে বিরোধীরা পথে নামবে বলেও জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। মুম্বইয়ের সভার পরই বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।
কিন্তু তার আগেই সংসদে বিরোধী ঐক্য প্রদর্শন করছে জোটের দলগুলি। একত্রিত হয়ে অচল করে দিয়েছে সংসদ। মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে রয়েছে। এখনও জোটে চিড় ধরাতে পারেনি সরকার পক্ষ। প্রধানমন্ত্রী মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রী বিরোধীদের আক্রমণ করতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। বিরোধীরা সংসদের ভিতরে ও বাইরে একত্রিয় হয়ে আন্দোলন করেছে। আগামী দিনে বিরোধী জোট আরও বড় আন্দোলনে নামতে পারে বলেও মন করেছে রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা।