শুক্রবারই এই মর্মে অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়েছেন তিরুভাভাদুথুরাই আধেনাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠকও ডেকেছেন তিনি।
সেঙ্গোল নিয়ে কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়ায় এর দানা বেঁধেছে বিতর্ক। সেঙ্গোলের ইতিহাসকে 'বোগাস' বলে উপহাস করায় ক্ষুব্ধ দক্ষিণী রাজ্য। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন স্বয়ং তিরুভাভাদুথুরাই আধেনাম। যিনি রাহুল গান্ধীর পিতামহকে ব্রিটিশ রাজ থেকে ভারতীয় স্বাধীনতার পবিত্র প্রতীক দিয়েছিল। শুক্রবারই এই মর্মে অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়েছেন তিরুভাভাদুথুরাই আধেনাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি সাংবাদিক বৈঠকও ডেকেছেন তিনি। তাঁর অফিসিয়াল রিলিজে নাম না করেই কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় থেকে সেঙ্গোল এবং নেহরুর প্রকৃত ইতিহাস প্রকাশ করা হবে শুক্রবার সন্ধ্যার সাংবাদিক সম্মেলনে।
সেঙ্গোলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বক্তৃতাকে 'দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক' বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তাঁর স্টেটমেন্টে বলা হয়েছে সেঙ্গোলের ইতিহাস একাধিক উত্স দ্বারা নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং পাশাপাশি তাদের নিজস্ব রেকর্ডে সংরক্ষিত রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে,'এটি আমাদের নিজস্ব রেকর্ড সহ একাধিক উত্স দ্বারা ভালভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে যে, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসাবে একটি অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।' তিনি আরও জানিয়েছেন,'সেঙ্গোলটি লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে দেওয়া হয়েছিল, তাঁর কাছ থেকে এটি ফিরিয়ে নিয়েছিলাম এবং একটি বিস্তৃত আচারে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর কাছে উপস্থাপন করেছিলেন।' পাশাপাশি কংগ্রেসের মন্তব্যে দুঃখপ্রকাশ করে তিরুভাভাদুথুরাই আধিনাম বলেছেন,'এই ধরনের ঘটনাকে ভুয়া বা মিথ্যা বলা, আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তোলার চেষ্টা করা এবং রাজনীতির স্বার্থে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে সেঙ্গোলকে ব্যবহারের গুরুত্ব কমানোর চেষ্টা খুবই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক।'
সম্প্রতি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ দাবি করেছিলেন যে 'মাউন্টব্যাটেন, রাজাজি এবং নেহরু এই রাজদণ্ডকে ভারতে ব্রিটিশ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করার কোনও নথিভুক্ত প্রমাণ নেই। এই প্রভাবের সমস্ত দাবিই বোগাস।' তিনি অভিযোগ করেছেন,'সম্পূর্ণভাবে কিছু মানুষের মনে তৈরি এবং হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছে, এবং এখন মিডিয়ার কাছে পৌঁছেছে।'