
নির্বাচনের ঘোষণা, প্রচার পর্ব থেকে নির্বাচনের দিন বাংলার পার্শ্ববর্তী রাজ্য ত্রিপুরায় পুর ভোট (Tripura Municipal election)সম্পন্ন হয়ে অশান্তির আবহেই। বিজেপি (BJP) বনাম সিপিএমের (CPM) লড়াই তো ছিলই এবার সেখানে বিরোধী দল হিসেবে প্রতীদ্বন্দ্বীতা করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও (TMC) । অভিষেক বন্দ্যোাপাধ্যায়ের সভা ঘিরে অশান্তি থেকে যুব তৃণমূলের নেত্রী সায়নী ঘষের গ্রেফতার কম অশান্তি হয়নি পুরভোটকে কেন্দ্র করে। ভোটের দিনও বিরোধীদের মারধর, বিরোধী প্রার্থীকে ভোট দিতে না দেওয়া, বুথে বুথে ছাপ্পা উঠেছে সব অভিযোগও। ভোট বাতিলেরও দাবি তুলেছে বিরোধীরা। যদিও এই সবকিছুকে আমল না দিয়ে বিজেপির দাবি ছিল ভোট হয়েছে নির্বিঘ্নে। আজ রবিবার ত্রিপুরার পুভোটের ফলাফল ঘোষণা। ১১২টি আসনে বিজেপি বিনা প্রতীদ্বন্দ্বীতায় জয়লাভ করলেও, বাকি আসনগুলিতে বিজেপির একাধিপত্য বজায় থাকবে না জমি ফেরত পাবে বামেরা, না চমক দেবে ঘাসফুল তা দেখার অপেক্ষায় ত্রিপুরা, বাংলা থেকে শুরু করে গোটা দেশ।
রবিবার ফলাফল প্রকাশিত হবে ৬টি নগর পঞ্চায়েত এবং ১৩ টি মিউনিসিপাল কাউন্সিলের। এছাড়াও ফল জানা যাবে আগরতলা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের। সব মিলিয়ে ৩৩৪টি আসনের ফলাফল প্রকাশিত হবে রবিবার। শাসক দল বিজেপি সবকটি কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে এবং বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ইতিমধ্যে ১১২ টি আসনে জয়লাভ করে বসে রয়েছে। বাকি ২২২ টি আসনে মোট ৭৮৫ জন প্রার্থীর (Candidate) ভাগ্য নির্ধারণ হবে রবিবার। পুর নির্বাচনের ফলাফলের দিন যাতে অশান্তি এড়ানো যায় তাই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার (Three tier security) ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোট ১৩ টি গণনা কেন্দ্র থেকে ফলাফল জানানো হবে। এই সব জায়গাতেই পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়। রাজ্য পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলসের বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে যাতে সারা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে। এছাড়া পুলিশের আইজিপি সুব্রত চক্রবর্তী আবেদন করেছেন সাধারণ মানুষের কাছে যাতে তারা কোনওরকম গুজবে কান না দেন। এছাড়াও চলবে পুলিসি টহল।
ইতিমধ্যেই ফলাফল উপলক্ষ্য বিজেপি নেতা নবেন্দ্যু ভাট্টাচার্য দলীয় কর্মীদের সংযত থাকার বার্তা দিয়েছেন। কোনওরম অশান্তিতে না জড়ানোর কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন,'পার্টি কর্মীদের রাজ্য নেতাদের কথা মত শৃঙ্খলাপরায়ণভালে থাকতে বলা হয়েছে। ফলাফল ঘোষণার সময় নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।' অন্যান্য দলের পক্ষ থেকেও শান্তি বজার রাখার কথা বলা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ত্রিপরার পুরভোটে কী ফল হয় এখন সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।