কৃষি বিলের প্রতিবাদে সরব হয়েছিল বাম, কংগ্রেস তৃণমূলসহ একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। আর সংসদীয় আচরণে লঙ্ঘনের অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ন ও দোলা সেনসহ রাজ্যসভার আট সাংসদেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষে সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান হয়েছে। পাশাপাশ তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সোমবার সকালে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেন, কৃষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য লড়াই করায় ৮ জন সাংসদরে বরখাস্ত করার ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। গোটা প্রক্রিয়াকে তিনি অগণতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে বলেছেন নিয়ম নীতিকে সম্মান না করায় সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবই প্রকাশ করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ তাঁর দল হার মানবে না বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, সংসদে ও রাস্তায় ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি।
পৃথক একটি ট্যুইটে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও ৮ সাংসদকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদ জানান হয়েছে। বলা হয়েছে, গতকাল রাজ্যসভার ঘটনা একেবারেই অবিশ্বাস্য। বিরোধী নেতাদের নির্মমভাবে চুপ করিয়ে বিজেপি গণতন্ত্রকে নিরঙ্কুশভাবে হত্যা করেছে। পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের কাছে আবেদন জানান হয়েছে গোটা দেশ নরেন্দ্র মোদী জির একনায়কতন্ত্রের অধীনে যাওয়ার আগে বিরোধিতা করার।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মুহুয়া মৈত্রও এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। গণতন্ত্র অবরুদ্ধ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়নও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তা দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করা চেষ্টা করছে। সরকার পক্ষই সংসদীয় নিয়ম ভেঙেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।