ত্রিপুরাতে (Tripura) গ্রেফতার (Arrested) টিএমসি নেত্রী (TMC Leader) সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। প্রতিবাদে সরব তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) । দিল্লিতে তড়িঘড়ি ডাকা হল সংসদীয় কমিটির (parliamentary committee) বৈঠক। সায়নী কিছু করেননি মন্তব্য কুণাল ঘোষের।
ত্রিপুরায় তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ গ্রেফতারের ঘটনাকে ঘিরেই ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ। ত্রিপুরা, বাংলা হয়ে এবার সেই আঁচ পড়তে চলেছে রাজধানীতেও। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে আন্দোলনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তড়িঘড়ি সংসদীয় কমিটির বৈঠক ডাকে তণমূল। বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার রাতেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন তৃণমূলসাংসদ। সোমবার দিল্লিতে বিক্ষোভ ধরনার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ত্রিপুরা নিয়ে জানাতে পারেন তাদের অভিযোগের কথা। ভবিষ্যতে ত্রিপুরা কাণ্ডকে হাতিয়ার করে বৃহত্তর আন্দোলনের পথেও হাঁটতে পারে তণমূল কংগ্রেস।
খুনের চেষ্টার অভিযোগে আগরতলায় গ্রেফতার করা হয় সায়নীকে। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৭, ১৫৩ এবং ১২০ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু সায়নী কোনও ভুল করেননি বলে সাফ জানিয়েছেন তণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যেই ঘটনার প্রেক্ষিতে সায়নী ঘোষকে গ্রেফকার কর হয়েছে, সেই সম্পর্কে অভিনেত্রী রাজনীতিবিদ গ্রেফতারের আগেই কুণাল ঘোষ জানান,টগাড়ি থেকে কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে যদি সায়নী অপরাধ করে থাকে, তাহলে ইন্দ্রনগর বাজারে সভার দিন যেভাবে আমাদের স্টেজ ভাঙা হল, সভা বাঞ্চাল করা হল, ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয়রা উপস্থিত ছিলেন তখন পুলিস কোথায় ছিল? পুলিস কী তখন আঙুল চুসছিল। সায়নী সেদিন কোনও ভুল করেনি, কোনও দোষ করেনি, পুলিস কোনও এফআইআরও করেনি,কোনও নোটিসও দেখাতে পারেনি।'
গ্রেফতারির আগে তিনি যে নির্দোষ সেই কথা নিজেই জানিয়েছেন সায়নী ঘোষ। বলেন,'সেদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সভা বাঞ্চাল করার জন্য় কিছুই করা হয়নি। যখন মুখ্যমন্ত্রী কথা বলছেন আমি গাড়ি করে যাচ্ছিলাম, কয়েক দেখে আমায় চিনে ফেলে,দিদি বলে ডেকে কথা বলে,হাত নাড়ে। আমি শুধু বলে খেলা হবে দদা খেলা হবে। তারপরই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমার গাড়ির উপর হামলা করে। গাড়িতে ধাক্কাধাক্কি করে। পুলিসের উচিৎ পাল্টা ওদের বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়ার। একটা খেলা হবে স্লোগান শুনে যদিও এমন হয়,আমরা যখন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করব তখন কীহবে।'ফলে সায়নী ঘোষের বক্তব্য অনুযায়ী তিনি কিছুই করেননি।
এরপরই থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেথতার করা হয় সায়নী ঘোষকে। শুধু তাই নয় দিনভর দফায় দফায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা থানায় হামলা করে বলে অভিযোগ। সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির দিন সন্ধায় ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মী সুবল ভৌমিকের বাড়ি লক্ষ্য করে দৃষ্কৃতীরা হামলা চালা বলে অভিযোগ। বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ওই তৃণমূল কর্মীর। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার। হামলার অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দৃষ্কৃতীদের দিকে। কুণাল ঘোষদের উপর থানায় হামলা করা হয়। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হন সাংবাদিকও। সব মিলিয়ে এখন যত কাণ্ড ত্রিপুরাতে।