ত্রিপুরাতে (Tripura) গ্রেফতার (Arrested) টিএমসি নেত্রী (TMC Leader) সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। প্রতিবাদে সরব তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) । রবিবার ফের আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী (TMC workers)। মারধর করা হল সাংবাদিককেও(Journalist)।
রাজনৈতিক বিবাদ, সংঘর্ষ, চাপানউতোর তো ছিলই, এবার ত্রিপুরাায় খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হল বাংলার সংবাদ মাধ্যমও। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল ওই সাংবাদিকের। এই ক্ষেত্রেও পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ উটেছে। একদিকে ত্রিপুরায় তৃণমূল নেত্রী (TMC Leader)সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) গ্রেফতারিতে ঘিরে তপ্ত রাজনীততি। অপরদিকে সোমবার ত্রিপুরায় (Tripura) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভা ঘিরেও চলছে রাজনৈতিক তরজা। এর মধ্যে রবিবার সন্ধাতে ফের ত্রিপুরায় আক্রান্ত হল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয়ে তাণ্ডবের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হল এক সাংবাদিক। এমনকী থানায় কুণাল ঘোষ সহ অন্য়ান্য তৃণমূল কর্মীদের উপর ফের হামলার অভিযোগও উঠেছে। ফলে রবিবার দিনভর দফায় দফায় কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ত্রিপুরার আগরতলা।
বাংলা জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করতেই শুরু হয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। একাধিকবার ত্রিপুরা গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে উঠে এসেছে। প্রতি ক্ষেত্রেই অভিযোগের ত্রিপুরার বিজেপি পরিচালিত বিপ্লব দেব সরকারের দিকে। বাংলার শাসক দলের অভিযোগ ত্রিপুরায় কোনও গণতন্ত্রন নেই। রবিবার সন্ধায় আরও একটি ঘটনা সেই অভিযোগকে ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির দিন সন্ধায় ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মী সুবল ভৌমিকের বাড়ি লক্ষ্য করে দৃষ্কৃতীরা হামলা চালা বলে অভিযোগ। বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় ওই তৃণমূল কর্মীর। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার। হামলার অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দৃষ্কৃতীদের দিকে।
অপরদিক,রবিবার দুপুরে সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির পর বিকেলে আগরতলা-পূর্ব থানায় তাঁদের উপর হামলার অভিযোগ তোলেন কুণাল ঘোষ। বিবার রাতে পরপর কুণালের তিনটি টুইট নতুন করে উৎকণ্ঠায় ফেলে তৃণমূল নেতৃত্বকে। প্রথম টুইটে কুণাল লেখেন, ‘আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় আবার ঢুকে এসে মারছে বিজেপি। জখম একাধিক। জীবন মরণ সমস্যা আমাদের।’ এরপর আরও দু’টি টুইট করেন তৃণমূলের মুখপাত্র। দ্বিতীয় টুইটে কুণাল লিখেছেন, ‘সকালের মতই রাতে আবার মারছে। সবার জীবন বিপন্ন। ভয়াবহ অবস্থা। থানায় ঢুকে মারছে।’ এর কয়েক মিনিট পরেই আক্রমণের অভিযোগ করে আরও একটি টুইট করেন তৃণমূলের এই প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি লেখেন, ‘আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় বিজেপির তাণ্ডব চলছে। বাইরে সাহায্য দরকার। পুলিশ প্রশাসন দেখুন। সাংবাদিকও রক্তাক্ত। পুলিশ আতঙ্কিত।’
খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে য সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছেন সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। মেরে মথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতার ওই সংবাদ মাধম্যের সাংবাদিককে। তার অভিযোগ দৃষ্কৃতীরা তাকে লাঠি-সোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও কোনও রেয়াত করা হয়নি। ঘটনার জেরে তিনিও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিসের সাংনেই এই হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন ওই আহ ত সাংবাদিক। পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল।
আরও পড়ুনঃSaayoni Ghosh Arrest- ত্রিপুরার ঢেউ এবার দিল্লিতে, তড়িঘড়ি রাজধানী গেলেন তৃণমূল সাংসদরা
আরও পড়ুনঃSaayoni Ghosh : গ্রেফতার সায়নী ঘোষ, হেলমেট পরে তাণ্ডব 'বিজেপি'-র, উত্তাল ত্রিপুরা
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার ঘটনায় আন্দোলনের ঝড় রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তড়িঘড়ি ডাকে দিল্লি পৌছে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। সোমবার দিল্লিতে তাদের ধরনা কর্মসূচি রয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই সময় দিল্লিতে রয়েছেন। সেক্ষত্রে দলের সুপ্রিমোকে সামনে রেখেই আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে পারবেন তৃণমূল সাংসদরা। দেখা করা হতে পারে রাষট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও স্বরাষট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ত্রিপুরা ইস্যুতে দেখা করতেপারে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।