আজ সকালে সংসদ শুরুর আগেই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জমায়েত করেন তৃণমূল সাংসদরা। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, শতাব্দী রায় সহ অন্য তৃণমূল সাংসদরা।
ত্রিপুরায় যুব নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে সংসদে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল সাংসদরা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। দিল্লিতে এই ইস্যুতে যে সাংসদরা সরব হবেন সেকথা রবিবারই জানানো হয়েছিল। সেই মতো আজ সকালে সংসদ শুরুর আগেই গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জমায়েত করেন তৃণমূল সাংসদরা। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, শতাব্দী রায় সহ অন্য তৃণমূল সাংসদরা।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিপুল ভোটে জয়লাভের পর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। আর এখন বাংলার পাশাপাশি তৃণমূলের লক্ষ্য় ত্রিপুরা। ২০২৩ সালে সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এগোচ্ছে তারা। আর সেখানে দলের সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে একাধিকবার ত্রিপুরায় যাচ্ছেন দলীয় নেতৃত্বরা। আর সেখানেই গত শনিবার দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে আক্রান্ত হন যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা এবং জয়া দত্তরা। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন তাঁরা। এই ঘটনায় ১৪জন তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ।
এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় তৃণমূল। রবিবার সকালেই ত্রিপুরায় পৌঁছান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও সেখানে পৌঁছান দোলা সেন, কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। এরপর দলের কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ত্রিপুরার খোয়াই থানায় যান তাঁরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বাদানুবাদ চলে। অবশেষে বিকেলের দিকে ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয় ওই ১৪জনকে।
আরও পড়ুন- বাঁশি বাজিয়ে সকলকে আনন্দ দিতেন বিরসা, কীভাবে হয়েছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নায়ক
আরও পড়ুন- 'ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এত সাহস নেই, শাহের নির্দেশেই আক্রমণ', SSKM-এ এসে বিস্ফোরক মমতা
এরপর খোয়াই থানা থেকে বেরিয়ে রাতের বিমানেই আক্রান্তদের নিয়ে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক। সেখানে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাঁদের। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সংসদের সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা। প্রতিবাদ শুধুমাত্র রাজ্যের মধ্যেই নয় রাজধানীতেও এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন তাঁরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ দোলা সেন বলেন, "শুধু মাত্র সংসদের বাইরেই প্রতিবাদ দেখিয়ে আমরা থামব না। এই বিষয়টি নিয়ে অধিবেশন চলাকালীন সংসদের মধ্যেও আমরা আলোচনা চাইব।" তিনি আরও বলেন, "বিজেপির নৃশংসতার সবার জানা প্রয়োজন। পুলিশ সেখানে তাদের কথামতোই চলছে। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। এমনকী, তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। এই বিষয়টি আমাদের সংসদে তোলা খুবই প্রয়োজন।"
সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, এই ঘটনার প্রতিবাদে বিরোধীদেরও সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিক্ষোভে সামিল হতে বলা হয়েছে।
যদিও এই ঘটনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। এ প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "তৃণমূল নাটক করছে। ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে হটানো এতটা সহজ নয়। বাংলায় তাদের নৃশংসতাকে ঢাকার জন্যই সংসদের মধ্যে অযথা ঝামেলার সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তারা। যাতে সেই ঝামেলার ফলে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় সেই কারণেই নাটক করছে তৃণমূল।"