রোড-শোয়ের পর ত্রিপুরায় জনসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে তিনি বলেন বিজেপির বিকল্প হওয়ার ক্ষমতা একমাত্র তৃণমূলের রয়েছে।
বিজেপিকে উৎখাত করতে পারে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় রোডশোর পর তেমনই দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, তৃণমূলই একমাত্র দল যে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারকে উৎখাত করতে পারে। তিনি আরও বলেন দেশের মানুষকে গেরুয়া শিবিরের বিকল্প সরকার দিতে পারে।
ত্রিপুরায় একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় মমতা বলেন, বিজেপির শাসনে ত্রিপুরায় গণতন্ত্র বলে আর কিছু নেই। কারণ এই দলটি অন্য কোনও দলকে রাজনৈতিক সভা করার অনুমতি দেয় না। সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করার অধিকার হারিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন দুই বছর আগে তাদের দলের কর্মীদের ওপর হামলা হয়। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেই সময় বেআইনিভাবে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের আটক করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন মমতা। রাজ্য়ে গণতন্ত্র নেই বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
এদিন মমতা বিজেপিকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প নিয়েও নিশানা করেন। তিনি বলেন যে দলের ১০০ দিনের কাজ দেওয়ার ক্ষমতা নেই সেই দলের ভোট চাওয়ারও কোনও অধিকার নেই। তৃণমূলই একমাত্র দল যে দেশ থেকে ডবল ইঞ্জিন সরকারকে উৎখাত করবে। জনগণকে বিকল্প সরকার দেবে। তিনি আরও বলেন ত্রিপুরার মানুষ বাংলার মতই কংগ্রেস ও সিপিএমকে প্রত্যাখ্যান করবে। এদিনের জনসভা থেকে মমতা বলেন তৃণমূল সরকার গঠন করলে রাজ্যে লক্ষ্মীরভাণ্ডার প্রকল্প চালু হবে। কন্যাশ্রী প্রকল্পও চালু হবে। ত্রিপুরার উন্নয়ন বলেও দবে আশা করেন মমতা।
অন্যদিকে ত্রিপুরা যাওয়ার আগে শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন এবার ত্রিপুরা বিধানসভায় তৃণমূলের লড়াই নোটার বিরুদ্ধে। নোটার থেকেই কম ভোট পাবে তৃণমূল। তিনি আরও বলেন, বিজেপি তৃণমূলকে কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। আর সেই কারণেই বিজের কোনও নির্বাচনী সভায় তৃণমূলের নামও উচ্চারণ করা হবে না। অমিত শাহ সোমবার ত্রিপুরায় একাধিক নির্বাচনী জনসভা করেন। কিন্তু কোথাও তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করেননি। যা নিয়ে বাম ও কংগ্রেস বিজেপির সমালোচনা শুরু করেছে। এদিন শুভেন্দু তারই উত্তর দিলেন।
বিজেপি দলত্যাগী সম্পর্কেও এদিন নিজের মতামত জানিয়েছেন শুভেন্দু তিনি বলেন, বিধানসভার ভিতরে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৫। যা আগে ছিল। তিনি আরও বলেন, দলত্যাগীরা বাইরে তৃণমূল বিধানসভায় বিজেপি। ত্রিপুরা যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত ক্রমাগত ভাঙ্গন ধরছে বিজেপির সংগঠনে। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তা সত্ত্বেও গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধী দলনেতা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বিধানসভার ভেতরে ওরা বল বিজেপি আর বাইরে তৃণমূল। আবার সাংবাদিকদের বলে সৌজন্য দেখাতে গিয়েছিলাম। দলে যোগ দিতে যাইনি। আমার কাছে ৭৫ জনই বিজেপির"।
আরও পড়ুনঃ
ত্রিপুরায় তৃণমূলের কোনও গুরুত্ব নেই, বিমানবন্দরে দলত্যাগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সঙ্গে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড